শেষ পর্যন্ত অক্টোবর মাসে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ই বহাল থাকল। টেলিকম সংস্থাগুলোর রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুতরাং মোট ৯২ হাজার কোটি টাকার ধার টেলিকম সংস্থাগুলিকে শোধ করতেই হবে।
অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ফের শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া–সহ অন্য টেলিকম সংস্থাগুলি। তাতে সংস্থাগুলি অন্তত তিনমাস সময় চেয়েছিল। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এয়ারটেল ও ভোডাফোন–আইডিয়ার কাছে মৃত্যুদণ্ডের সামিল। এয়ারটেলকে ২১,৬৮২ কোটি টাকা দিতে হবে। ভোডাফোন–আইডিয়াকে দিতে হবে ২৮,৩০৮ কোটি টাকা। সেই তুলনায় মাত্র তিন বছর আগে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করার কারণে রিলায়েন্স জিওকে দিতে হবে মাত্র ১৩ কোটি টাকা!
১৯৯৯ সালে লাগু হওয়া টেলিকম নীতি অনুযায়ী, টেলিকম সংস্থাগুলিকে মোট আয়ের কত শতাংশ লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারকে দিতে হবে, তা নির্ধারণের জন্য কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর সংস্থাগুলির ‘অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ’ বা এজিআর একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা ঠিক করে দিয়েছিল। আর সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে ২০০৫ সালে মামলা করে টেলিকম সংস্থাগুলির সংগঠন সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা সিওএআই।
কিন্তু গত বছর অক্টোবর মাসে ১৪ বছরের পুরোনো সেই মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাড়’ বলে খারিজ করে। ফলে টেলিকম দফতরের সংজ্ঞাই বৈধ বলে মান্যতা পায়। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার টেলিকম সংস্থাগুলির কাছে সুদ ও জরিমানা–সহ মোট ৯২,৬৪১ কোটি টাকা পায়।