এদিন ফের ধর্মতলার ধর্ণামঞ্চে হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩ দিন ধরে সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে রাস্তাতেই থাকলেন তিনি। এদিন সন্ধ্যাতেও রানি রাসমনি অ্যাভিনিউয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের ধর্ণামঞ্চে আসেন নেত্রী। মাইক হাতে বলেন, ‘আজ আমি শুনতে এসেছি। মুখগুলো চিনতে এসেছি। সব সময় দেখার সুযোগ হয় না। আমাকেও তো নতুন জেনারেশন তৈরি করতে হবে। তোমরা বলো, আমি শুনব।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে শুধু ছাত্রনেতারাই নন, সিএএ বিরোধী বক্তব্য রাখেন সেখানে হাজির থাকা অধ্যাপকদের একাংশও। সবশেষে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদী-শাহকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি চলমান প্রক্রিয়া। আপনারা কেন এত তাড়াহুড়ো করছেন? নাগরিকত্ব আইন কি বৈধ নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র? বৈধ নাগরিকদের অধিকার কেড়ে বিজেপিকে স্পনসর করা বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ষড়যন্ত্র নয় তো?’ এমনও প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি আরও বলেন যে, ‘বুঝতে হবে, সিএএ-এনআরসি-এনপিআর আসলে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।’
দেশে সবার প্রথম সিএএ চালু করা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘সিএএ নিয়ে স্পষ্ট আইনই তৈরি হয়নি এখনও। যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ একাই ৩০ হাজার উদ্বাস্তু খুঁজে বের করে ফেলেছে।’ তিনি যে রাস্তায় থেকেই আন্দোলনের পক্ষে, এদিন নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে আরও একবার পরিষ্কার করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ ফের একবার ছাত্রদের ধরনামঞ্চে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন, তিনিই এই আন্দোলনের পুরোধা।