কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন(সিএএ), এনআরসি, এনপিআরের বিরুদ্ধে উত্তাল গোটা দেশ। বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই স্বতস্ফূর্তভাবে পথে নামছেন মানুষ। অভিযোগ, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব আইন লাগু করছে কেন্দ্র। এই নিয়ে দেশ-বিদেশ সর্বত্র শোরগোল পড়ে যাওয়ায় যখন বেজায় চাপে বিজেপি সরকার, তখন সিএএ-র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মাইক্রোসফট সংস্থার সিইও সত্য নাদেলাও। সিএএ-এনআরসি-র জেরে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি বলেছেন, ‘ভারতে যা ঘটছে, তা দেখে মর্মাহত। যে কোনও বাংলাদেশি শরণার্থীর পাশে আছি। আমি দেখতে চাই কোনও এক বাংলাদেশি শরণার্থী ভারতে এসে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন কিংবা ইনফোসিসের মতো সংস্থা সিইও বনে গিয়েছেন।’ এ নিয়েই এবার ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি।
সত্য নাদেলাকে পাল্টা দিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেন, ‘এই কারণেই স্বাক্ষরদের প্রকৃতপক্ষে শিক্ষিত করার প্রয়োজন রয়েছে। মাইক্রোসফট সিইও-র এই মন্তব্য তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।’ অর্থাৎ লেখি এককথায় বোঝাতে চাইলেন মাইক্রোসফট সিইও-র শিক্ষার অভাব রয়েছে! এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আগত অ-মুসলিম শরণার্থীদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সত্যকে খোঁচা দিয়ে তাঁর বক্তব্য, আমেরিকায় সিরিয়ান মুসলিমদের নাগরিকত্ব দিলে কেমন লাগবে সেটা জানালেও ভাল হয়। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর অভিবাসনের অভিজ্ঞতা তুলে নাদেলা বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক দেশেরই জাতীয় নিরাপত্তা, সীমা এবং অভিবাস নীতি রয়েছে। এরপরও গণতান্ত্রিক দেশে সরকার এবং নাগরিকের আলোচনার মাধ্যমেই এ সব ক্ষেত্র নির্ধারণ করা উচিত।’