বনধের দিনে বিশ্বভারতীতে গিয়ে সেখানকার পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তাঁকে কালো পতাকাও দেখায় পড়ুয়ারা। এমনকি ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও তোলেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয় স্বপন দাশগুপ্তকে। প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে সিএএ বিষয়ের উপর একটি বক্তৃতাসভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল এই বিজেপি সাংসদের। সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, বিশ্বভারতীর কোট সদস্য তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বিশ্বভারতীর একটি সেমিনারে যোগ দেবেন। সেখানে সিএএ-র উপর বক্তৃতা দেবেন তিনি। জানানো হয়েছিল, বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে সেই বক্তৃতার আয়োজন করা হবে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সেমিনার বয়কটের ডাক দেন পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশ। তাঁদের পাশে দাঁড়ান ছাত্র-অধ্যাপকদের একাধিক সংগঠন। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন বিশ্বভারতীতে এহেন বক্তৃতার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। এই পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার ক্যাম্পাসে পৌঁছন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। আর বিশ্ববিদ্যলয় চত্বরে ঢুকতেই বাধার মুখে পড়েন তিনি। দীর্ঘক্ষণ তাঁর গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস এরিয়া।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই এনআরসি ও সিএএ ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন আমআদমি থেকে শুরু করে তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরাও। আন্দোলনে পথে নেমেছিল পড়ুয়ারাও। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও এখনও ফুঁসছে দেশবাসী। তারমধ্যেই গোটা দেশে ধর্মঘট চলাকালীন বিশ্বভারতীতে বিজেপি সাংসদ প্রবেশ করতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।