যেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করছে তাঁদের পেছনেই সিবিআই পড়ে যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এবার সেই অভিযোগ আরও একবার সত্যি হল। ফের মায়াবতী–অখিলেশের পেছনে লেলিয়ে দেওয়া হল সিবিআইকে। ২০০৯ সালে বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী যখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তখনই যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। ওই প্রকল্পে নয়ডার সঙ্গে আগ্রাকে (১৬৫ কিমি) সড়কপথে যুক্ত করা হয়েছিল। আর সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব যখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তখন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়। এমনকী ২০১২ সালে অখিলেশ এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন। আর এখন বিজেপি’র নেতা যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রকল্পটির দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করল সিবিআই।
অভিযোগ তোলা হয়েছে, এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য ১২৬ কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আর সিবিআই তদন্ত যেন ঘুরিয়ে দিচ্ছে মানুষের দৃষ্টিকে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে এক্সপ্রেসওয়ে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে যোগীর সরকার। তাতে প্রকল্পের কর্তা পি সি গুপ্তা এবং আরও ১৯ জনের নাম ছিল। উত্তরপ্রদেশ সরকার তদন্ত করার জন্য সিবিআইকে অনুরোধ করে। সেই মতো এখন তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলা হচ্ছে সপা–বসপা’র পক্ষ থেকে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক তদন্তে বলা হয়েছিল, পি সি গুপ্তা এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অপর কয়েকজন কর্মী মথুরার সাতটি গ্রামে ৫৭.১৫ হেক্টর জমি কিনেছিলেন। ১৯টি কোম্পানির সাহায্য তা কেনা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁরা দাম দিয়েছিলেন ৮৫ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। সেই জমি ওয়াইইআইডিএ–কে পরে তাঁরা ১২৬ কোটি টাকায় বিক্রি করেন।