সোমবার বিকেলে রাজঘাটে সিএএর বিরোধিতায় ধর্নায় বসে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই ধর্নায় যুবসমাজ ও পড়ুয়াদের যোগ দিতে আবেদন জানান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একই আবেদন জানিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। এদিন সন্ধেয় ধর্নায় হাজির ছিলেন সনিয়া গান্ধি-সহ কংগ্রেসের নেতারা।
রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই নাগরিকত্ব বিল আইনে পরিণত হয়েছে। দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝাঁঝ বাড়ছে। আন্দোলনে নেমে গোটা দেশে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৬জন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আক্রান্ত হয়েছে পড়ুয়ারাও। তাও প্রতিবাদ চলছে। বিক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগ, ধর্মের উপর ভিত্তি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভেদাভেদের চেষ্টা চলছে। পড়ুয়া থেকে বর্ষীয়ান নাগরিক, খেটে খাওয়া মানুষ একসঙ্গে সকলে পথে নেমেছেন। বির্তকিত আইন প্রত্যাহারে দাবিতে গলা মিলিয়েছেন সকলেই।
সোমবার সকালে রাহুল গান্ধী টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, “যুব ও ছাত্র সমাজ তোমরাই ভারত। এটা ওঁদের বুঝিয়ে দাও। তোমরা ওঁদের বুঝিয়ে দাও যে ঘৃণা দিয়ে দেশকে নষ্ট করা যাবে না।” পরে আরেকটি টুইটে তিনি ছাত্র ও যুবসমাজকে রাজঘাটে তাঁদের ধর্না মঞ্চে যোগ দেওয়ার আর্জি জানান। তাঁর অভিযোগ, “দেশজুড়ে বিভেদের রাজনীতি করছে কেন্দ্র সরকার। সেই রাজনীতির প্রতিবাদ করা জরুরি।”