উন্নাওয়ের ধর্ষিতা দগ্ধ তরুণীর মৃত্যু হয়েছে গতকাল গভীর রাতে। তারপর থেকেই দিল্লীর সফদরজং হাসপাতালের বাইরে চলছে বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ চলাকালীন এক যুবতী তাঁর ছ’বছর বয়সী মেয়ের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। এই ঘটনায় যুবতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হায়দ্রাবাদ, উন্নাওয়ের ধর্ষিতাদের পরিণতি দেখিয়ে দিয়েছে, বিষয়টা আর নিছকই নারী নিরাপত্তা বিঘ্নিত – এটুকু উদ্বেগেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি চিন্তার হয়ে দাঁড়াচ্ছে আজকের শিশুকন্যাদের সুরক্ষা, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে। গত কয়েকবছর ধরে দেশজুড়ে ঘটে চলা নির্ভয়াদের মতো চরম নৃশংস দিন যাতে নিজের সন্তানকে দেখতে না হয়, অহরহ সেই প্রার্থনায় মগ্ন মায়েরা। আজ দুপুরে রাজধানীর রাস্তায় এধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে একেবারে নজিরবিহীনভাবে প্রতিবাদের পথে হাঁটলেন এক মা। প্রকাশ্য রাস্তায় নিজের ছ বছরের শিশুকন্যাকে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, এই যুক্তি দেখিয়ে যে, একদিন তাঁর মেয়েরও উন্নাও বা হায়দ্রাবাদের তরুণীর মতো পরিণতি হতেই পারে।
যদিও অঘটন ঘটার আগেই পুলিশ তাঁদের দু’জনকেই সরিয়ে নিয়ে যায়। ক্ষুব্ধ, আবেগজড়িত কণ্ঠে সেই মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের উপরেও হয়ত কখনও নেমে আসবে যৌন নির্যাতনের খাঁড়া এবং হয়ত উন্নাও কিংবা হায়দ্রাবাদের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। তাই তিনি নিজেই মেয়ের জীবন শেষ করে দিতে চান। একথা বলার সময় সেই মায়ের মানসিক পরিস্থিতি যদি এখনও আঁচ না করা যায়, তবে হয়ত বছরের পর বছর এমন লজ্জার ভার বয়ে বেড়াতে হবে আমাদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, যুবতীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর ছ’বছরের মেয়েকে সফদরজং হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে সে। মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।