এনআরসি-র দরকারই নেই। মূল বিষয়গুলি থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি করছে। শনিবার একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। দু’জনেই তাঁদের রাজ্যে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিন অমরিন্দর সিং বলেন, ‘আমার মনে হয়, জাতীয় নাগরিকপঞ্জির কোনও দরকার নেই। আপনি আচমকা মানুষকে বলতে পারেন না যে, দেশ থেকে চলে যাও। আপনি একতরফা কাউকে দেশ থেকে তাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’ বাঘেল বলেন, ‘সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারীরা সমস্যার কারণ। অন্যান্য রাজ্যে তাদের সংখ্যা বেশি নয়। আসলে, মানুষের মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুমোদন করেছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই বিলটি সংসদে পেশ করা হবে। তাতে বলা হয়েছে, মুসলিম বাদে অপর কোনও ধর্মের মানুষ যদি ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন তাহলে নাগরিকত্ব পাবেন। অমরিন্দর সিং এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে ভারতীয়রা বিদেশে বাস করছেন, তাঁরা ইচ্ছা করলে ফিরে আসতে পারেন। আমরা তাঁদের আটকাতে পারি না।’
হায়দ্রাবাদের কাছে চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে মারা সম্পর্কে বাঘেল বলেন, ‘যদি পুলিশ সত্যিই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়ে থাকে, তাহলে আপত্তি নেই। তা যদি না হয়, তাহলে তদন্ত হওয়া উচিত।’
বিজেপির ‘দেশপ্রেমের’ সঙ্গে কংগ্রেসের ‘দেশপ্রেমের’ তুলনা করেন ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘কংগ্রেস গৌতম বুদ্ধ ও মহাত্মা গান্ধীর দেশপ্রেমে বিশ্বাস করে। কিন্তু বিজেপি বিশ্বাস করে আগ্রাসী জাতীয়তাবাদে। আমরা বিরোধিতাকে সম্মান করি। তারা বিরোধিতাকে শেষ করতে চায়। আমাদের এই আতঙ্কের অবসান ঘটাতে হবে।’