গত বছরই গেরুয়া ঝড়ে ত্রিপুরায় ভেঙে পড়েছিল লাল দুর্গ। বছর ঘুরতেই সেই ‘প্রধান শত্রু’ বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল সিপিএম! রাজনৈতিক সম্পর্কের এমন রসায়ন ঘিরে জোর চর্চায় ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। দলের হুইপ অগ্রাহ্য করে বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে সিপিএম। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
ওই পঞ্চায়েতের প্রধান পদে দায়িত্ব নিয়েছেন সিপিএমের টিকিটে জয়ী তাকুম আলি। আর উপপ্রধান পদে বসেছেন বিজেপির সিরাজ মিয়া, এমনটাই খবর। এ প্রসঙ্গে তাকুম আলি বলেন, ‘পঞ্চায়েত চালাতে সাময়িক সময়ের জন্য বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধির সঙ্গে একজোট হয়েছি।’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘আমি এখনও একজন সিপিএম সদস্য। দলের নেতৃত্বের থেকে কোনও হুইপ পাইনি।’
এ প্রসঙ্গে উনাকোটি জেলার সিপিএমের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে জোট করে যাঁরা বোর্ড গঠন করেছেন, তাঁরা দলের হুইপ মানেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় শ্রীনাথপুরে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। হুইপ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ৪ জন হুইপ না মেনেই বিজেপির সঙ্গে একজোট হয়ে বোর্ড গঠন করেছে। ওঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার কোনও প্রশ্নই নেই’।’ বিজেপি মুখপাত্র অশোক সিনহাও বলেন, ‘ওঁরা দলের হুইপের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। সিপিএমের সঙ্গে জোট করেনি বিজেপি।’
এদিকে, এ প্রসঙ্গে সিপিএম ও বিজেপিকে বিঁধে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তাপস দে বলেন, ‘একদল চরম ডানপন্থী, আরেক দল চরম বামপন্থী। তারা বরাবরই একসঙ্গে রয়েছে। সব সুযোগসন্ধানী দল। ওদের কাছে ক্ষমতা দখলই আসল লক্ষ্য। মানুষের রায় নিয়ে মাথা ঘামায় না।’
উল্লেখ্য, শ্রীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৩ সদস্য। নতুন কমিটিতে সিপিএমের ৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে রয়েছেন ৪ জন। বিজেপির ৫ নির্বাচিত প্রতিনিধি।