দলের কর্মীদের পুলিশকে মারধরের ঘটনা ‘সমর্থনযোগ্য’ বলেই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পুলিশ প্রশাসনকে দিনীপের হুঁশিয়ারি, ‘’পুলিশ যদি মানুষের চাকরি না করে তৃণমূলের নেতাদের কথায় চলে, তাহলে খড়্গপুরের মতো মাঝেমাঝেই পুলিশকে পালিস করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি দিদির ভাইদেরও শুধরে দেওয়া হবে।‘’
বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাফাই, ‘মেদিনীপুরের সভায় যোগ দিতে যাওয়া ৪০০টি বাসকে পুলিশ আটকে দেয়। আর সেই কারণে দলীয় কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এখন থেকে পুলিশ যেমন দেখাবে, তারা তেমনই দেখবে। তখন আমাদের কোনও দায়িত্ব থাকবে না।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেদিনীপুরের সভায় যোগ দিতে আসা বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে পার্কিং নিয়ে বচসা হয় পু্লিশের। তারপরই উত্তেজিত বিজেপি সমর্থকদের মারে জখম হন ১৪ জন পুলিশ কর্মী। এর মধ্যে কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। সিভিক ভলান্টিয়ারদের লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারা হয় সাইকেল। রাস্তায় ঘিরে ধরে এক পুলিশ কর্মীকে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে কিল, চড়, লাথি মারা হয়।বিজেপি কর্মীরা চড়–থাপ্পড় মারতে থাকে পুলিশকে। চৌরঙ্গিতে উল্টে দেওয়া হল পুলিশের গাড়ি।
দিলীপবাবুর কথায় আশঙ্কার মেঘ ঘণীভূত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতির আঙিনায়। তবে কী মতবিরোধ হলেই আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ তৈরিতে মরিয়া বিজেপি?