কলকাতা : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই বাংলার পর্যটনশিল্পের(Tourism) উন্নয়নে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। এবার প্রকাশ্যে এল পর্যটনক্ষেত্রে বাংলার সাফল্যের নতুন চিত্র। প্রতি বছরই রাজ্যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে, তথ্য তুলে ধরে বিধানসভায় এমনই জানালেন পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
Read More: ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর! নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু কুকি মহিলার
মন্ত্রীর কথায়, গতবছর ৩২ লক্ষ পর্যটক এসেছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি পর্যটক ১ লক্ষ ৮২ হাজার। পরিবেশবান্ধব পরিবেশ, পছন্দসই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করার ফলে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন বিদেশি পর্যটকরা। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার পর্যটনমন্ত্রীর জবাব, এযাবৎ রাশিয়া, আমেরিকা, ইতালি, থেকে এখনও পর্যন্ত এসেছেন ২৭ লক্ষ ১১ হাজার ৭০৮ জন পর্যটক।
বিধানসভায় বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের প্রশ্নের উত্তরে পর্যটন দফতরের মন্ত্রী পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে এবং হচ্ছে। আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য পর্যটকরা উত্তরবঙ্গে যেতেন না। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে, শান্তি বহাল হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পর্যটক যাচ্ছেন। দার্জিলিং বা উত্তরবঙ্গের পাহাড়-ডুয়ার্সের মতোই বাংলার পর্যটনে(Tourism) নতুন মাত্রা যোগ করেছে দিঘা। সেখানে জগন্নাথ মন্দির তৈরির পর বিপুল সমাগম ঘটছে বিদেশি পর্যটকদের।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1936002812938265050
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ২০২৪-এর এপ্রিলে জঙ্গলমহলে একটি পর্যটন কেন্দ্র চালু করেছে রাজ্য। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তা ৮৭ শতাংশ ভর্তি থাকে। ওখান থেকে অযোধ্যা পাহাড়ে আধ ঘণ্টায় যাওয়া যায়। এছাড়াও পর্যটন ব্যবসায় স্থানীয় আগ্রহীদের ১০০ শতাংশ সহায়তা দিচ্ছে। ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ২০২১ থেকে রাজ্যে ১০২২ জন সার্টিফায়েড টুরিস্ট গাইড অর্থাৎ শংসাপত্র-সহ টুরিস্ট গাইড হয়েছেন। এই দিক দিয়ে সারা ভারতে পয়লা নম্বরে রয়েছে বাংলা।