কলকাতা: নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সুপ্রিম নির্দেশ মেনে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ৩০মে। কারণ, শীর্ষ আদালত চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথামতোই বৃহস্পতিবার রাতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি(Gazette Notification) প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে তাতে নিয়োগ বিধিতে একাধিক বদল আনা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই নয়া বিধি চাকরিহারাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেবে।
Read More: ফের স্পষ্ট পাকিস্তানের জঙ্গিপ্রীতি! মঞ্চে বসে লস্কর নেতাদের ভূয়সী প্রশংসা পাক মন্ত্রীর
এসএসসির নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অ্যাকাডেমিক্সের নম্বর অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বদলে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতায় অতিরিক্ত নম্বর যোগ করা হয়েছে। আগের বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষায় ছিল ৫৫ নম্বর। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে ছিল ৩৫ নম্বর। ইন্টারভিউয়ে ক্ষেত্রে নম্বর ছিল ১০। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। এখানে ২৫ নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিবর্তে নম্বর যোগ করা হয়েছে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’-এ। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপর দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’-এর জন্যও সর্বোচ্চ ১০ নম্বর রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং পড়ানোর দক্ষতার জন্য অতিরিক্ত ২০ নম্বর থাকছে। এসএসসির ইন্টারভিউয়ের জন্য আগের মতোই ১০ নম্বর থাকছে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রেও।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1928361803563540560
আবার, নতুন বিধিতে স্বচ্ছতাতেও জোর দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি(Gazette Notification) অনুযায়ী, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দু’বছর লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করা হবে। তারপর সেগুলি নষ্ট করা হতে পারে। তবে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি ১০ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত করা হবে। ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হবে ওএমআর শিটের কপি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন প্যানেল এবং ওয়েটিং লিস্টের মেয়াদ এক বছর। সেটা এসএসসি চাইলে আরও ৬ মাস বাড়ানো যেতে পারে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া ডেডলাইন মেনে রাজ্যে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল এসএসসি। নয়া বিধিতে বেশকিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। নয়া বিধিতে যাঁরা আগে শিক্ষকতা করেছেন তাঁরা বাড়তি সুবিধা পাবেন। তুলনায় নতুন যারা চাকরিপ্রার্থী তাদের জন্য প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও কঠিন হল। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।