প্রতিবেদন : ঘরের ভিতরে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকদের। থরে থরে সাজানো রয়েছে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল! বিজেপিশাসিত ওড়িশায় এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের(Corruption) এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়েছে শোরগোল।
Read More: দুর্নীতি ফাঁস করায় ক্রমাগত হুমকি, যোগীরাজ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা সাংবাদিক দম্পতির
উক্ত ইঞ্জিনিয়ারের নাম বৈকুণ্ঠনাথ ষড়ঙ্গী। তিনি রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দফতরে মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারের পদে কর্মরত। বহুদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে উঠছিল আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ। তার ভিত্তিতে ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দেন ভিজিল্যান্সের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা বাড়ি পৌঁছোতেই জানলা থেকে রাস্তায় টাকার বান্ডিল ছুঁড়ে ফেলতে শুরু করেন বৈকুণ্ঠনাথ! ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে ৫০০ টাকার বান্ডিল রাস্তায় পড়তে দেখে হতবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে দু’কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে আনা হয়েছিল যন্ত্রও। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তল্লাশি অভিযানে যেতেই ইঞ্জিনিয়ার তাঁর বাড়ির জানলা দিয়ে রাস্তায় টাকা ফেলতে শুরু করেন। তাঁর বাড়ি থেকে আপাতত দু’কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে।’’
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1928395294707724325
শুধু ভুবনেশ্বরই নয়, ইঞ্জিনিয়ারের সাতটি ঠিকানাতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, ভুবনেশ্বর, অঙ্গুল, পিপিলিতে (পুরী) মোট সাতটি জায়গায় তল্লাশি চলছে। অঙ্গুল জেলায় ইঞ্জিনিয়ারের আরও একটি বাড়ি থেকে নগদ এক কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে।(Corruption) তদন্তকারীদের সন্দেহ, আরও টাকা উদ্ধার হতে পারে। শুক্রবার সকালে ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ভিজিল্যান্সের আট জন ডেপুটি পুলিশ সুপার, ১২ জন ইনস্পেক্টর, ছ’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর এবং আরও কয়েক জন প্রশাসনিক আধিকারিক। অঙ্গুলের ভিজিল্যান্স আদালতের বিচারকের নির্দেশেই এই তল্লাশি অভিযান বলে জানিয়েছে সূত্র।
পাশাপাশি ভিজিল্যান্স সূত্রে খবর, ইঞ্জিনিয়ারের দোতলা একটি বাড়ি রয়েছে অঙ্গুলে। ভুবনেশ্বর ও পুরীর সিউলাতেও ফ্ল্যাট রয়েছে। সবক’টিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এ ছাড়াও অঙ্গুলে ইঞ্জিনিয়ারের আত্মীয়ের বাড়ি, তাঁর পৈতৃক বাড়ি এবং অফিসেও তল্লাশি চলছে। ইঞ্জিনিয়ারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত, এখনও তার স্পষ্ট হিসাব মেলেনি।