প্রতিবেদন : কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকার কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে কেন্দ্র। মোদী সরকারকে(Modi Government) সমালোচনায় বিঁধেছে একাধিক মহল। এবার প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন উত্তরাখণ্ডের জ্যোতির্মঠের বর্তমান আধ্যাত্মিক প্রধান শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। কেন্দ্রের বর্তমান সরকারের আমলে নিরাপত্তার গলদ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, যেভাবে একজন নিরাপত্তারক্ষী কারও সম্পত্তিতে কিছু ঘটলে প্রথমে দায়ী হবেন, ঠিক তেমনই জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ত্রুটি ঘটলে একইভাবে জবাবদিহি করা উচিত সরকারকে।
Read More: মৃত্যুর পর ৮ ঘণ্টা দেহ পড়ে রইল রেললাইনে, প্রশ্নের মুখে আরপিএফের ভূমিকা
অতীতে বহুবার নিজেকে ভারতীয় নাগরিকদের ‘চৌকিদার’ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলত নাম না করে শঙ্করাচার্য তাঁকেই কটাক্ষ করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একই সঙ্গে পহেলগাঁও হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকারের(Modi Government) সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ভারতের মাটিতে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে শঙ্করাচার্য প্রশ্ন তোলেন যে, দেশের নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে কেন সরকারের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে না? এই ধরনের ঘটনা সত্ত্বেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। “যদি কারও নিজের বাড়িতে কিছু ঘটে, তাহলে প্রথমেই দায়ী হবেন চৌকিদার। একইভাবে, জাতীয় নিরাপত্তার ত্রুটির জন্য সরকারকে দায়ী করা উচিত”, স্পষ্ট বক্তব্য তাঁর।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1916841692105441553
পাশাপাশি, সিন্ধু নদীর জল সমস্যা নিয়েও মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। তিনি জানান, পাকিস্তানে জল প্রবাহ বন্ধ করতে সক্ষম একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে ভারতের কমপক্ষে ২০ বছর সময় লাগবে। এর থেকেই পরিষ্কার, সরকার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনগণের আস্থার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগ এনেছেন শঙ্করাচার্য। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিন্ধু নদীর জলের সমস্যাটি অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে। যার কোনও সুরাহা হয়নি এখনও।