প্রতিবেদন : মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় সারা দেশ। ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে নিরাপত্তার ত্রুটির কথা স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যেই ফের নয়া বিতর্কের কেন্দ্রে খোদ মোদী-শাহর রাজ্য। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় মিলল গুজরাটের যোগসূত্র! বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
উক্ত সংস্থাটি আদালতে জানিয়েছে যে, জঙ্গি গোষ্ঠীর বৃহত্তর পরিকল্পনা ছিল তাদের কাজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা এবং ভারতীয় যুবকদের মধ্যে মাদক বিতরণ করে ভারতে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করা। হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মদতপুষ্ট লস্করের মাদক পাচার কৌশলের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি আদালতকে জানান, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সঙ্গে যোগ রয়েছে হেরোইনের। যা পাচার হচ্ছিল গুজরাটের শিল্পপতি গৌতম আদানির মালিকানাধীন মুন্দ্রা বন্দর দিয়েই!
পাশাপাশি এনআইএ-র তরফে আদালতে বলা হয়েছে, একজন সাক্ষী জানিয়েছে যে নিহত টিআরএফ জঙ্গি লতিফ তাঁকে বলেছিল, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানভিত্তিক মাদক পচারকারীসের সঙ্গে কাশ্মীর এবং ৩৭০ ধারা নিয়ে আলেচনা হয়েছিল। সেই সূত্রে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হয়। এনআইএ আদালতে বলে, এই ষড়যন্ত্রের মূলচক্রী পাকিস্তানের আইএসআই ও লস্কর-ই-তইবা। এই মামলার শুনানি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্যকান্ত ও এন কে সিং-এর বেঞ্চে।
উল্লেখ্য, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি গুজরাটের মুন্দ্রা কদরে ২১ হাজার কোটি টাকার হেরোইন বাজেয়াপ্ত করেন কাস্টমস ও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। ওই হেরোইন পাঠানো হয়েছিল আফগানিস্তান থেকে। পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৮৮.২ কেজি। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এনআইএ জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি হেরোইন পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানের আইএসআই এবং ইরানের এক মিডলম্যানের মাধ্যমে। ওই পরিমাণ হেরোইন গুজরাটের বন্দরে পৌঁছয় ইরান থেকে। হেরোইন বিক্রি করে পাওয়া টাকা নাশকতার কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল সন্ত্রাসবাদীদের।