মহারাষ্ট্র : কেটে গিয়েছে বছরদশেকেরও বেশি। মোদী-জমানায় দেশজুড়ে কৃষকদের(Farmers)পরিস্থিতি ঠিক কী, তা এতদিনে অজানা নয় কারও। সাম্প্রতিক অতীতে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের অদম্য আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে দেশ। দেখা গিয়েছে, ভোটের সময় কৃষকদের জন্য দরদ উথলে ওঠে মোদী সরকারের! আর ভোট ফুরোলেই রাতারাতি উলটপুরাণ। তার নবতম উদাহরণ ‘ডবল ইঞ্জিন’ মহারাষ্ট্র।
Read More: মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জমা পড়া অভিযোগের দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী নবান্ন, নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক
বিজেপি জোটশাসিত এই রাজ্যে বহুদিন ধরে বারবার দাবি জানিয়ে, অনশন করে, মিছিল করে, অবরোধ করেও সরকারের কাছ থেকে কোনওরকম সাহায্য পাননি কৃষকরা। অবশেষে হতাশ হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন তরুণ কৃষক কৈলাস অর্জুন নাগাড়ে। কৈলাসের পকেট থেকে উদ্ধার হয়েছে তিন পাতার সুইসাইড নোট।তিনি লিখেছেন, “বিজেপি সরকারের কারণেই আমি মৃত্যু বেছে নিলাম। এরা কৃষক, গরিব মানুষের কথা ভাবে না। ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রাখেনি। কৃষকদের উপেক্ষা করেছে, কথাও শোনার ধৈর্য দেখায়নি। আমার মৃত্যুতে যদি টনক নড়ে। যতক্ষণ না দাবি মানা হয়, ততক্ষণ যেন খেত থেকে আমার দেহ সরানো না হয়।”
স্বাভাবিকভাবেই কৈলাসের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ বুলঢানা জেলার কৃষকরা।(Farmers)বিগত ২০২০ সালে এই কৈলাসকেই রাজ্যের বিজেপি সরকার ‘ইয়ং ফার্মার অ্যাওয়ার্ড’ দিয়েছিল। আর সেই বিজেপির আমলেই তাঁকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল। বুলঢানা জেলার শিবনি আরমল গ্রামে শেষ ৭-৮ বছর ধরে গ্রামের মানুষের একটাই দাবি, খড়কপূর্ণ জলাধার থেকে ১৪টি গ্রামের সেচের জলের ব্যবস্থা করে দিক স্থানীয় প্রশাসন। কৈলাস এলাকায় নেতৃত্ব দিতেন। বারবার নিজেই দরবার করেছেন বারবার। মিছিল নিয়ে দাবি জানিয়েছেন। টানা ১০ দিন অনশন করেছেন। তাতেও ঘুম ভাঙেনি। শেষে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1900917126237426096?s=19
ঘটনায় ইতিমধ্যেই সারা মহারাষ্ট্র জুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। সরব হয়েছে বিরোধীরা। সবারই বক্তব্য, বিজেপি পুরোদস্তুর কৃষক-বিরোধী। কেবল ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখে। কড়া বার্তা দিয়েছেন কৃষকরা। “স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবসে কত কথা প্রধানমন্ত্রী বলেন কৃষকদের নিয়ে। আসলে যে সবটাই মিথ্যাচার তা প্রমাণিত হয়েছে। আবার আমরা সংগঠিত হচ্ছি। কৈলাসের মৃত্যুর বদলা নেবই”, স্পষ্ট হুঁশিয়ারি তাঁদের।