নয়াদিল্লি: সদ্য পেশ করা কেন্দ্রের বাজেটেই ঘোষণা করা হয়েছে রেলের বরাদ্দের অঙ্ক। রেলব্যবস্থা নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে। সুরক্ষায় নতুন করে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা। রেলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মাঝেও যাত্রীদের হতাশা কিন্তু কাটছে না। আদতে সাধারণ মানুষকে কতটা উপকৃত করবে এই বাজেটে রেল সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত! তা নিয়ে প্রশ্ন এখনও থেকেই যাচ্ছে।
মোদী সরকারের তৃতীয় দফার বাজেট পেশে রেলকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা , পাশাপাশি মিলেছে নমো ভারত, অমৃত ভারত, বন্দে ভারত ট্রেন। এমনকি রেলপথের সংখ্যাবৃদ্ধি, উড়ালপুল, আন্ডারপাসের মতো নানা প্রকল্পের জন্য এ বার ৪ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তবে এবারের বাজেটেও কোনও রকমের ছাড় মিলল না প্রবীণদের। খড়গপুর ডিভিশনে কোনও নন স্টপ ট্রেনের ব্যবস্থাও করা হয়নি সদ্য পেশ করা বাজেটে। তাই এত ঘোষণার পরেও যাত্রীদের হতাশা কিন্তু কাটছে না।
২০২৩ সালে খড়গপুর ডিভিশনের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাটিতে মৃত্যু ঘটে ২৯২ জনের। তাতে রেলের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বারবার। এমনকি এই ডিভিশনের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় বারবার লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেন। এহেন পরিস্থিতিতে রেল সুরক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি হলেও যাত্রীরা খুশি নন। যাত্রীদের মতে, বিগত বছরে রেল সুরক্ষায় বরাদ্দের পরেও লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেন।
মেদিনীপুর-খড়গপুর-হাওড়া ডেইলি প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জয় দত্ত সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করতে গিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “একই লাইনে এখনও মালগাড়ি ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলায় ট্রেনের গতি বাড়ছে না। প্রতি বাজেটে শোনা যাচ্ছে ফ্রেট করিডরের কথা। তা বাস্তবায়িত হলে তো মালগাড়ির পৃথক করিডর হওয়ার কথা। সেটা কোথায়!’ শুধু তাই নয় জয় দত্ত জানিয়েছেন, দেরিতে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি বাজেটে না থাকাতেও হতাশ যাত্রীরা। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের দাবি খড়্গপুর-হাওড়া নন স্টপ ট্রেন নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে। অতএব নিত্যযাত্রীদের এই বাজেট কতটা উপকৃত করবে তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।