বাংলাবাসীর দোরগোড়ায় নানান জনমুখী প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালক্রমে বিপুল সাড়া পেয়েছে তা। আজ, শুক্রবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির নবম পর্যায়। শিবির চলবে ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত। বিভিন্ন এলাকায় শিবির করে রাজ্য সরকারের মোট ৩৭টি প্রকল্পের পরিষেবার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। এবার সেখানে কৃষি যন্ত্রাংশ কেনার আর্থিক সাহায্য প্রকল্পেও আবেদন করার সুযোগ মিলবে। আগে যেসব এলাকা বেশি গুরুত্ব পায়নি, সেখানে শিবিরের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের নির্দেশ, সমস্ত ক্যাম্পে প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রসূতিদের জন্য বিশেষ জায়গা রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ফটোকপিও যাতে বিনামূল্যে হয়, নজর রাখতে বলা হয়েছে সেই বিষয়েও।
এছাড়া যাঁদের আবেদন গ্রাহ্য হবে না, তাঁদের আবেদন বাতিল হওয়ার কারণ এবং কী করণীয়, তা ঠিকমতো বুঝিয়ে দিতে হবে বলেও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুয়ারে সরকারে জমা পড়া আবেদন ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সব খতিয়ে দেখতে হবে। এই সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ কোনও অজুহাতে টাকা চাইলে তা বরদাস্ত করা হবে না বলে রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত হয়েছিল অষ্টম দুয়ারে সরকার। সেখানে ৩৬টি প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। এবার সেগুলির সঙ্গেই যোগ হচ্ছে ‘কৃষি যন্ত্রাংশ কেনার আর্থিক সাহায্য’ সংক্রান্ত প্রকল্প। স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্যভাতা, কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, মানবিক, রূপশ্রী-র মতো প্রকল্প বা ভাতার সুবিধা পেতে এই শিবিরে আবেদন করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
