বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই নারী ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করেছেন একাধিক প্রকল্পের সূচনা। রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপ্রশ্রী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রভৃতি প্রকল্পগুলি। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প বাংলায় প্রথম চালু করে দেশের কাছে তা দৃষ্টান্ত করে তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এই প্রকল্পের অনুকরণে নানা প্রকল্প চালু হয়েছে। ২০২৬ সালে বাংলায় আছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই প্রকল্পে টাকার অঙ্ক এবং উপভোক্তার সংখ্যা বাড়তে চলেছে বলে ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সাধারণ মানুষের কাছে এখন একটা বড় ভরসা এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের আদলে ভিনরাজ্যে ‘লাডলি বেহনা’, ‘মাঈয়া সম্মান’ যোজনা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এবার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ বাড়বে সংখ্যায় এবং টাকার অঙ্কেও।
প্রসঙ্গত, চলতি জানুয়ারির ২৪ তারিখ থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। এই শিবিরে মহিলারা এসে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করবেন। আর তাঁদের শিবির শেষের পর নথি খতিয়ে দেখে টাকা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়। তারপর ক্ষমতায় ফিরে এসেই তা চালু করে দেন মমতা। যা আজও চলছে সগৌরবে। উপকৃত হচ্ছেন বাংলার মহিলারা। সেটাই এবার টাকার অঙ্কে আর একটু বাড়তে চলেছে বলে আভাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-সিপিএম একযোগে এই প্রকল্পকে ‘ভিক্ষার দান’ বলে কটাক্ষ করেছিল। আজ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতেই এই প্রকল্পের অনুকরণ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এবারের রাজ্য বাজেটে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে বরাদ্দ বৃদ্ধি হতে চলেছে। এই প্রকল্পে এখন ২ কোটি ২১ লক্ষ মহিলা সারা রাজ্যে উপকৃত হচ্ছেন। সাধারণ মহিলারা মাসে হাজার টাকা করে পান। আর তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা করে মাসে পান। এবার বাড়তে চলেছে সেই টাকার পরিমাণ।
