উত্তরবঙ্গে সফরে গিয়ে মঙ্গলবার পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে জিটিএ পর্যালোচনা বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টেয় রিচমন্ড হিলে জিটিএর সব সদস্য এবং পাহাড়ের সব ক’টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য সদস্যকেও বৈঠকে ডেকেছিলেন মমতা। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাহাড়ের উন্নয়ন বোর্ডগুলি ঢেলে সাজানো হবে। তারই সঙ্গে তৈরি করা হল একটি মনিটরিং সেল। যার মাথায় থাকছেন অনীত থাপা। সঙ্গে রয়েছেন এল বি রাই। প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পর্যালোচনা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই খবরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের জন্য নিয়োগ ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ৪টি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার করা হবে। এখানে প্রতিভার অভাব নেই। ছেলেমেয়েদের ট্রেনিং করানো হবে। ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হবে। এছাড়াও জেলাশাসকদের বলা হয়েছে। তাঁরা জায়গার সন্ধান দিচ্ছেন। সেখানে পিপিপি মডেলে হাব তৈরি হবে। যেখানে বাজার, সিনেমা হল, কমিউনিটি সেন্টার, পার্কিংয়ের জায়গা থাকবে। জায়গা থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্যও। বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ড ও জিটিএ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। সেই অনুযায়ী আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে একাধিক কাজে হাত দেওয়া হবে।”
পাশাপাশি মমতা বলেন, “আমরা মনিটরিং সেল খুলছি। কারণ অডিটের বিষয় আছে। ফলে কাজ করতে সুবিধা হবে। জেলাশাসকও বিষয়টি দেখবেন। এখানকার চা-বাগানগুলিতে শ্রমিকদের জমির পাট্টা দিয়েছি। আরও দেব।” এদিন গোপাল লামা তামাংকে বোর্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে অনীত থাপা বলেন, প্রত্যেকটি বোর্ডের ও জিটিএ-র সদস্যরা ছিলেন। পাহাড়ের ডিএনএ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবগত। মূলত পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়েই আলোচনা হয়েছে। ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কথা হয়েছে। পাহাড়ের সব গ্রামে হোম-স্টে হচ্ছে। অনীত বলেন, “ভোটের রাজনীতি করতে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে আসেন না। তিনি আন্তরিকভাবেই পাহাড়ের উন্নয়ন চান। পাহাড়বাসীর জন্য ভাবেন। এবং পাহাড়ের শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে সে-কারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও তিনি করেছেন। আমরা সকলেই তাঁর সঙ্গে আছি।” এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও বৈঠকে ডাকা হয়েছিল জিটিএ এক্সিকিউটিভদের।