ইতিমধ্যেই রাজ্যের গরিবদের মানুষদের মাথায় ছাদের ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আবাস যোজনা প্রকল্পে কোনওরকম বিতর্ক এড়াতে তালিকা যাচাই প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করতে আরও একবার নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য। পঞ্চায়েত দফতর থেকে সব জেলা সমীক্ষকদের কাছে পাঠানো এগারো দফা নির্দেশিকায় অভিযোগ নিষ্পত্তি সেল থেকে আসা নামগুলিকে পুনরায় যাচাই করার কথা বলা হয়েছে। যেসব নাম বাতিল করা হয়েছে, সেগুলি পুনরায় সরেজমিনে পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের নির্দেশিকা মেনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ির তালিকা তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল বা মানুষের সঙ্গে কোনওরকম ভুল বোঝাবুঝি যেন না হয় সেইজন্যে মাইকিং করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, গ্রাম সভা ও ব্লক লেভেল কমিটির অনুমোদন-সহ সব নাম যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, তালিকা যাচাই নিয়ে রাজ্য সরকার যে মান্য কার্যবিধি তৈরি করেছিল সেখানে আগামী বৃহস্পতিবার ক্রস চেকিংয়ের পরে ২০ তারিখে উপভোক্তাদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করার কথা। কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া বিভিন্ন শর্তের কারণে আবাস যোজনা প্রকল্পে যেসব উপভোক্তার নাম বাদ গিয়েছে তাঁদের তথ্য পুনরায় যাচাই করতে এই সমীক্ষা করা হয়। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসকের মতো উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা মাঠে নেমে তথ্য যাচাই করছেন। সমীক্ষার কাজ ১৪ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যাতে ভুল না হয়ে যায় তার জন্য বাড়তি সময় নেওয়া হতে পারে। সরকারি কর্মীরা প্রথম পর্যায়ে সমীক্ষার কাজ করার পর অনেকেই বিভ্রান্ত হয়েছেন। অনেকের পাকা বাড়ি রয়েছে। তারপরও সমীক্ষার সময় তাঁরা গোয়ালঘর বা রান্নাঘরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই সব পাকাবাড়ির মালিকদের কেউ কেউ তালিকায় থেকে যেতে পারেন। সুপার চেকিংয়ে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হবে। কোনও সুপারিশ মেনে তালিকা তৈরি হবে না বলেই জানা গিয়েছে।