Assembly রাজ্যে খানিক জমি পাওয়ার পর থেকেই ছলে-বলে-কৌশলে বিভিন্ন সময় বঙ্গভঙ্গের জিগির তুলেছেন বিজেপি নেতারা। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেবার দাবি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বাংলা থেকে উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন তিনি। এরপর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বাংলার দুই জেলা মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ-সহ ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কয়েকটি জেলা নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের ডাক দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে তৃণমূল। বিজেপির এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব এনেছে তারা। আজ, সোমবার সেই নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বিধানসভায়।

পাশাপাশি, একইসঙ্গে বিধানসভায় এদিন প্রচলিত রীতি মেনে পালিত হবে বন মহোৎসব। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য ও বিধায়করা। বনমহোৎসব উপলক্ষে সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর পাশাপাশি চারা গাছও রোপণ করা হবে। বিধানসভার বুলেটিনে বৃহস্পতিবারই প্রকাশিত হয়েছিল যে, বিজেপির বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে সোমবার।
প্রস্তাবে এই ধরনের উদ্যোগ থেকে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় বিধানসভা। প্রস্তাবের শেষ অংশে রাজ্যের সকল শ্রেণির ঐক্য, সংহতি, শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে বাংলাকে অটুট রাখার জন্য সকল স্তরের জনগণের কাছে আবেদন জানানো হয়। বাংলা ভাগের অন্যতম দাবিদার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের কথাও প্রস্তাবে বলা হয়। সেই প্রস্তাবে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করা রাজ্য-ভাগেরই অন্য নাম। উল্লেখ করা হয়েছে নিশিকান্ত দুবের মন্তব্যও। সোমবার দু’ঘণ্টার বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আলোচনায় অংশ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন মহোৎসব অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1820422181878136834
assembly