এবার বাংলাজুড়ে জল অপচয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের পথে হাঁটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কড়া আইনি পথ অবলম্বন করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (পিএইচই)। এই বিষয়ে বিধানসভায় একটি বিলও আনবে রাজ্য। বুধবার সে কথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য, কারিগরি ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়। “মোটর দিয়ে বহু মানুষ জল তুলছেন। কেউ নার্সারি, কেউ হ্যাচারি অথবা কেউ তা রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করছে। জলের অপচয় বন্ধে বিধানসভায় বিল নিয়ে আসা হবে। মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সকলকেই নিতে হবে”, বলেন তিনি।
পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার বহু কাজ করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, “ডাবগ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকায় পাঁচটি পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তাতে খরচ হবে ৫২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা। তার ফলে ৩১ হাজার ১৩৭টি পরিবারে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে যাবে। ইতিমধ্যেই ৯০ লক্ষাধিক পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। জুন–জুলাই মাসে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে। প্রকল্পগুলি চালাতে এবং রক্ষণাবেক্ষণে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার ৪,১৬০ কোটি টাকা খরচ করেছে। তারপরও বাংলার সঙ্গে আর্থিক বঞ্চনা চলছে।” পাশাপাশি বলেন, বাংলার কিছু ব্লককে ভূগর্ভস্থ জলের আর্সেনিক দূষণ এবং ফ্লোরাইড দূষণ কবলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৮টা জেলার ৮৩টি ব্লক আর্সেনিক কবলিত। চারটে জেলার ৪৩টি ব্লক ফ্লোরাইড কবলিত। এই নিয়ে গবেষণা এবং অনুসন্ধান চলছে। আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাংলার সব পরিবারে জল পৌঁছে দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, এমনই জানিয়েছেন মন্ত্রী।