Train Accident মোদীর শাসনকালে ট্রেন দুর্ঘটনার বিভীষিকা থেকে রেহাই নেই দেশবাসীর। করমণ্ডল এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও স্তিমিত হয়নি। এবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল হাওড়া-মুম্বই মেল। এই নিয়ে গত দু’মাসেই তিনবার বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটল দেশে! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে রেলমন্ত্রক। হাওড়া-মুম্বই মেলের দুর্ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে রেলের গাফিলতি, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের কাছে হওয়া এই দুর্ঘটনায় এখনও অবধি দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। মৃত ও আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে জামশেদপুর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে বডাবাম্বুতে। লাইনচ্যুত হয় অন্তত ১৮টি বগি। লাইনচ্যুত হওয়া ১৮টি কামরার মধ্যে ১৬টিই যাত্রীবাহী কামরা। এছাড়াও বেলাইন হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগের কামরা এবং প্যান্ট্রি কার। এই ট্রেনটির অদূরেই লাইনচ্যুত হয় আরেকটি মালগাড়িও। সিংভূম জেলার পুলিশ আধিকারিক জানান, দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০-এ।
আরও পড়ুন: ফের জেলা সফর শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা – ঝাড়গ্রাম দিয়েই আরম্ভ হতে পারে কর্মসূচি
একই এলাকায় দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত হল কী করে? উঠেছে প্রশ্ন। দুর্ঘটনার পরে দক্ষিণ পূর্বের রেলের ট্রেন ম্যানেজার মহম্মদ রেহান বলেন, “ভোর ৩:৩৯ নাগাদ মেল ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে হাওড়া-মুম্বই মেল লাইনচ্যুত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই বেলাইন হয়েছিল একটি মালগাড়ি। ডাউন লাইনে এই দুর্ঘটনার প্রভাব পড়ে আপ লাইনেও। সেসময় ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে যাচ্ছিল মুম্বইগামী ট্রেনটি।” রেলের এই বিবৃতির পরেই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, মালগাড়ি দুর্ঘটনার খবর পেয়েও কেন মুম্বই মেলকে এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দেওয়া হল? কেনই বা গতি কমাতে বলা হল না যাত্রীবাহী ট্রেনকে? সূত্রের খবর, শেষ পেরনো স্টেশন থেকে মুম্বই মেলের ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিট। কেন সতর্ক করা হল না মেল ট্রেনের চালককে, তা নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে সংশয়। স্থানীয় স্টেশন মাস্টারের ভূমিকাও পড়েছে প্রশ্নের মুখে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1818269492251607214
train accident