মোদী-জমানায় বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তবুও মূল্যবৃদ্ধির কোপ থেকে রেহাই পাননি দেশের আমজনতা। বারবার পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্যপণ্য, জ্বালানির দাম। এবার ফের প্রকাশ্যে এল সেই চিত্র। খাদ্যপণ্যের বাজারদরে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে জনগণের! টম্যাটোর দাম এই সময় কেজি প্রতি ৫০ টাকা থাকে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। কলকাতা, কানপুর, দিল্লী বা দেরাদুন, সর্বত্রই এক পরিস্থিতি। খোদ মোদী সরকারের খাদ্যমন্ত্রকই এই তথ্য দিচ্ছে। কেন্দ্রের মতে, আলুর দাম হওয়া উচিত ৩০ টাকা কিলো। কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকায়। খাদ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, পেঁয়াজের দাম হওয়া উচিত ৪০ টাকা, কিন্তু বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৭ টাকায়। কোথাও কোথাও পেঁয়াজ বিকোচ্ছে আরও চড়া দরে।
প্রসঙ্গত, খাদ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, খুচরো বাজারে আটার আদর্শ মূল্য হওয়া উচিত ৩২ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু তা বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকায়। চাল ৪০ টাকার জায়গায় কেজি প্রতি ৬২ টাকায় কিনতে হচ্ছে। খোলা বাজারে চায়ের আদর্শ মূল্য কেজিতে ২২০ টাকা। তা বিক্রি হচ্ছে ৫৫৯ টাকায়। অর্থাৎ, মোদী তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতেই ফের মূল্যবৃদ্ধির কোপ পড়েছে আমজনতার কাঁধে। তবুও নেই সুরাহার আভাস। কার্যত ভ্রূক্ষেপহীন সরকার। খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্তব্য, জোগানের অভাব। জোগান বাড়লে দাম কমে যাবে। তবে কবে জোগান বাড়বে, তার কোনও ইঙ্গিত দেখানো হয়নি। বর্ষা আসার কারণে বহু আনাজই পচনশীল। ফলত মজুতের জন্যেও সমস্যা থেকে যাবে। আদৌ দাম কমবে কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, মানুষ আলু, টমেটো, পেঁয়াজ বেশি খাচ্ছে, তাই দাম বাড়ছে। বাজারে পর্যাপ্ত জোগান হলেই দাম কমবে বলে জানিয়েছে তারা। কিন্তু সরকারের আশ্বাস আদৌ কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে সন্দিহান সাধারণ মানুষ।