প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লাকে একহাত নিলেন সোনিয়া গান্ধী। ১৯৭৫ সালের এমারজেন্সির সময় নিয়ে তাঁদের বিবৃতির কড়া সমালোচনা কংগ্রেসের সংসদীয় দলের প্রধানের। সংবিধানের উপর আঘাত আনা হচ্ছে আর সেদিক থেকে নজর ফেরাতেই জরুরি অবস্থার নিয়ে বিবৃতি প্রধানমন্ত্রী-স্পিকারের। এমনটাই মন্তব্য কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদের।
‘প্রিচিং কনসেনসাস, প্রোভোকিং কনফ্রন্টেশন’ নামে প্রতিবেদনে সোনিয়া গান্ধী কড়া ভাষায় লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দলের নেতারা জরুরি অবস্থায় প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন। অদ্ভুতভাবে সে প্রসঙ্গ লোকসভায় উত্থাপন করলেন খোদ স্পিকার। যাকে পক্ষপাতহীন বলেই চিহ্নিত করা হয় সংসদে।’
সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘এমারজেন্সির পর ১৯৭৭ সালে জনতা যে রায় দিয়েছিল তা মাথা পেতে মেনে নেওয়া হয়। তবে ঠিক তার তিন বছরের মধ্যেই কংগ্রেস ফের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে। যা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি এখনও ছুঁতে পারেনি। সংবিধানের উপর লাগাতার আঘাত করা হচ্ছে। এমারজেন্সি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে সেদিক থেকে নজর ফেরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সংসদ চালানোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারের বিবৃতি যথাযথ নয়।’