সম্প্রতি ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে নোটিশ পাঠিয়েছিল বিজেপি পরিচালিত বরোদা পুরসভা। এবার সেই নোটিশের বিরুদ্ধে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ইউসুফ পাঠান। এর আগে বরোদা পুরসভার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ইউসুফ পাঠানের দখলে থাকা সেই জমি আদতে পুরসভার। এই আবহে সেই দাবির বিরোধিতায় উচ্চ আদালতে গেলেন ইউসুফ। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুননি হয়। এদিকে হাই কোর্টে মামলা হওয়ার পরে বরোদা পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান শীতল মিস্ত্রী বলেন, ‘মামলা এখন আদালতে। এই আবহে হাই কোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।
এর আগে বরোদার প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পাওয়ার এই ইস্যুটি উত্থাপন করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে ইউসুফ পাঠান তাঁর বাড়ির পাশে পৌর কর্পোরেশনের প্লটটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। বিজয় পওয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০১২ সালে পুরসভার সেই জমিটি পাঠানকে বিক্রি করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে ইউসুফ পাঠান কম্পাউন্ডে দেওয়াল নির্মাণ করে জমিটি দখল করেছেন। এই আবহে ইউসুফ পাঠানকে একটি নোটিশ ধরায় বরোদা পুরসভা।
বিজেপি নেতা বিজয় পাওয়ার বলেন, ‘টিপি ২২ এর অন্তর্গত তনদালজা এলাকায় একটি প্লট রয়েছে যা ভিএমসি’র মালিকানাধীন। ২০১২ সালে পাঠান এই প্লটটি চেয়েছিলেন পুরসভার থেকে। সেই সময় তাঁর বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। বাড়ির ঠিক পাশেই ওই প্লটটি ছিল। তিনি প্রতি বর্গমিটারের জন্য ৫৭,০০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। প্রস্তাবটি তখনকার সময়ে ভিএমসিতে অনুমোদিত হয় এবং সাধারণ বোর্ড সভায় পাস হয়। তবে, রাজ্য সরকার, এই ধরনের বিষয়ের চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ। তারা অনুমোদন দেয়নি। প্রস্তাবটি খারিজ হওয়ার পরও ভিএমসি প্লটের চারপাশে কোনও বেড়া দেয়নি। তারপর আমি জানতে পারলাম যে পাঠান কম্পাউন্ড ওয়াল নির্মাণ করে জমিটি দখল করেছেন। তাই আমি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি।’ এদিকে বরোদা পুরসভার বর্তমান বিজেপি কাউন্সিলর নীতীন দোঙ্গা আবার দাবি করেছেন, নির্বাচনের জন্যে মনোনয়ন পেশের সময় ইউসুফ পাঠান নিজের হলফনামায় সম্পত্তির তালিকায় এই দখলি জমিরক উল্লেখ করেছেন। এই আবহে পাঠানের বিরুদ্ধে জমি দখলের আইনি পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন তিনি।