লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিজেপি এবং এনডিএ-কে নাকানিচোবানি খাইয়েছে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি জোট। এর আগে শিবসেনাকে আড়াআড়ি ভাবে ভেঙে নয়া সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। এমনকী বিজেপির সঙ্গে যাওয়া একনাথ শিন্ডের শিবসেনাকেই ‘আসল’ আখ্যা দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই ‘আসল’ শিবসেনার থেকে লোকসভায় এবারে বেশি আসন জিতেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর জোটসঙ্গীরাও ভালো ফল করেছে এবারের লোকসভা ভোটে। আগেরবার মবারাষ্ট্রে যেখানে বিজেপি ২৩টি আসনে জিতেছিল, সেখানে এবার তাঁদের আসন সংখ্যা কমে আর্ধেকেরও কম হয়েছে। এই আবহে শিবসেনার প্রতিষ্ঠা দিবসে সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ করলেন উদ্ধব ঠাকরে।
১৯ জুন শিবসেনার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মুম্বইয়ের দুই প্রান্তে একনাথ এবং উদ্ধবের পৃথক জনসভা আয়োজিত হয়েছিল। আর সেই জনসভা থেকেই আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে দামামা বাজিয়ে দিলেন উদ্ধব ঠাকরে। গতকাল জনসভা থেকে উদ্ধব বলেন, ‘মোদীজিকে আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি… তিনি মহারাষ্ট্রে এসে বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিন। এই লড়াই হবে আপনি বনাম আমার। বিজেপিকে আমার চ্যালেঞ্জ, আমার প্রতীক ব্যবহার না করে একটা ভোটে জিতে দেখাক। আমি গর্বিত যে আমি অন্তত অন্য কারও ছবি ব্যবহার করে ভোটে লড়ছি না। আমি কখনও অন্য কারও চেহারা ব্যবহার করব না। আর মোদীজিকে আমার বার্তা, ভুয়ো শিবসেনাকে বাদ দিয়ে প্রচার চালিয়ে দেখান।’
এদিকে এর আগে ভোটের পরে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরে নিজে যাননি। এই আবহে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, উদ্ধব ঠাকরে হয়ত বিজেপির সঙ্গে ফের হাত মেলাতে পারেন। তবে সেই সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে উদ্ধব ঠাকরে বললেন, যারা শিবসেনাকে শেষ করে দিতে চেয়েছে, তাদের সঙ্গে জীবনে কোনও দিন হাত মেলাব না। এদিকে মহারাষ্ট্রের এই জগাখিচুড়িতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে তারা ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে। এদিকে এক নির্দল প্রার্থী জিতে কংগ্রেসে যোগ দেন। এদিকে উদ্ধবের শিবসেনা জেতে ৯টি আসনে। আর একনাথ শিন্ডের শিবসেনা জয়ী হয় মাত্র ৭টি আসনে। এদিকে এই সবের মাঝে একনাথ শিন্ডে গতকাল ফের অভিযোগ করেন, বালাসাহেব ঠাকরের হিন্দুত্ববাদের নীতি থেকে সরে যান উদ্ধব ঠাকরে। তাই তিনি বিদ্রোহ করে দল ভেঙেছিলেন। পাশাপাশি তিনি উদ্ধবকে নীতি বদল নিয়ে আক্রমণও শানান বুধবার।