ইউরোর প্রথম ম্যাচেই গুরুতর চোট পেয়েছেন ফরাসি তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে। অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ফেটে গিয়েছে এমবাপের নাক। পরের ম্যাচগুলিতে তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তার মাঝেই ফ্রান্সের অনুশীলনে ফিরলেন তিনি। বুধবার তাঁকে প্যাডারবর্নে দলের অনুশীলনে দেখা গিয়েছে এমবাপেকে। নাকে প্লাস্টার লাগানোর ছবিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনুশীলনের আগেই এমবাপের একটি পোস্ট নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তিনি ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “ঝুঁকি ছাড়া জয় আসে না।” তাতেই মনে করা হচ্ছে, নাকের চোট নিয়েও এমবাপে ইউরো কাপে খেলবেন। কোনও ম্যাচেই বসে থাকতে চান না তিনি। বুধবার এমবাপের নাকে অনেক পরীক্ষা হয়েছে। তবে কোনও পরীক্ষার ফলই প্রকাশ্যে আসেনি। তবে সতীর্থদের সমর্থন পেয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবার অনুশীলনে আদ্রিয়েন রাবিয়ঁ বলেন, “নাকে চিড় ধরেছে মানেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে তা নয়। এমবাপে খুব শীঘ্রই আমাদের দলে যোগ দেবে।” আর এক ফুটবলার উইলিয়াম সালিবা জানিয়েছেন, তিনি এমবাপের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি বেশ ভাল। অনুশীলনে এমবাপেকে কোচ দিদিয়ের দেশঁর সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সতীর্থদের সঙ্গে ঠাট্টাও করেছেন। তবে মাঝেমাঝেই নাকে হাত দিয়ে প্লাস্টার ঠিক জায়গায় রয়েছে কি না, সেটা দেখে নিয়েছেন। যদিও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে খেলতে হলে তাঁকে বিশেষ মাস্ক পরতে হবে। রাবিয়ঁ জানিয়েছেন, জুভেন্টাসে তাঁর সতীর্থ তথা পোল্যান্ডের গোলকিপার উজসিয়েচ সেজনিরও নাক ভেঙেছিল এপ্রিলে। তিনি অস্ত্রোপচার করিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দলে ফিরেছিলেন। এমবাপের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হবে না বলেই আশাবাদী তিনি।