‘মহারাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া’র হুঙ্কার ছাড়লেন এনসিপি (শরদচন্দ্রের) প্রধান শরদ পওয়ার। ভাইপো অজিত পওয়ার বেশ কয়েকজন বিধায়ক-সাংসদকে নিয়ে দল ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ায়, বিপদে পড়েছিলেন তিনি। দলের নাম, প্রতীক সবই হারিয়েছেন। কিন্তু, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের জনগণ, শরদচন্দ্রের এনসিপি-কেই ‘আসল এনসিপি’র স্বীকৃতি দিয়েছেন। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে দশটি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তাঁর দল। তার মধ্যে আটটিতে জয়লাভ করেছে তারা। চলতি বছরের শেষেই আবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। লোকসভা ভোটের ফলে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী শরদ মহারাষ্ট্রের নিয়মন্ত্রণ নেওয়ার ডাক দিলেন। শুধু ফাঁপা আওয়াজ নয়, কীভাবে তা করা যাবে, সেই দিশাও দেখিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের বারামতিতে এবার ছিল প্রেস্টিজ ফাইট। শরদ পাওয়ারের কন্যা তথা এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন অজিত পওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পওয়ার। জা-ননদের এই লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন সুনেত্রাই। এই আসন থেকে এই নিয়ে একটানা চতুর্থবার জয়ী হয়েছেন তিনি। এই জয়ের পর থেকে নিয়মিত বারামতির বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করছেন এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জমি প্রস্তুত করা শুরু করে দিয়েছেন শরদ পওয়ার। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন), তিনি বারামতির শিরসুফল গ্রামে এক জনসভায় বক্তৃতা দেন। সেখানেই ৪-৫ মাসের মধ্যে মহারাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ডাক দেন তিনি।
শরদ পওয়ার বলেন, “ভোটের সময় আমায় দলীয় কর্মীরা বলতেন, বারামতির মানুষ চুপ করে আছে। খোলাখুলি কোনও কথা বলছে না। আমি তাদের বলেছিলাম চিন্তা কোরো না। বলেছিলাম, এখন তারা নিজেদের মনের কথা না বললেও, ইভিএমে তারা সঠিক বোতামই টিপবে। সেটাই ঘটেছে। ইভিএম খুলে দেখা গিয়েছে, ম্যাজিক হয়েছে। আপনারা আমাদের বিপুল সংখ্যক ভোট দিয়েছেন।” এরপরই তিনি বলেন, “আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন হবে। মহারাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য আমার প্রচেষ্টা জারি থাকবে। আর এটা অর্জন করতে হলে, আমাদের বিধানসভা নির্বাচনে জিততে হবে।” শরদ জানান, তিনি চার মেয়াদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এক দশক ধরে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্বে। দুই বছর দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদেও ছিলেন।