লোকসভা ভোট মিটতেই মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের সমস্ত দপ্তরের মন্ত্রী ও সচিব, যুগ্মসচিব, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেখানে একাধিক প্রাশাসনিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি দপ্তরের কাজে যে মুখ্যমন্ত্রী খুশি নন, তা এদিন গোপন রাখেননি।
নবান্নসূত্রে ঘবর, রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সতর্ক করেন ওই দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডেকে। বেশ কিছু খামতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন তিনি। সমবায় সচিব কৃষ্ণা গুপ্তাকেও এদিন ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ঘন ঘন দিল্লি যাওয়া নিয়েও এদিন উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায়।
কারিগরী শিক্ষা বিভাগের কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কড়া কথা শোনান সচিব অনুপ আগরওয়ালকে। তবে প্রশংসা শোনা যায় উদ্যানপালন বিভাগের কাজ নিয়ে। সচিব সুব্রত গুপ্তকে আরও ভাল কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেন। রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় হিমঘর তৈরির ব্যাপারেও এদিন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পেঁয়ারা, লিচুর মতো ফল সংরক্ষণের জন্য বারুইপুরের ফুলতলার পিয়ালি টাউনের হিমঘরের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিন পঞ্চায়েত দপ্তরের কাজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দপ্তরের সচিব পি উলগানাথনকে পুনরায় আবাসের তালিকার পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেন। এর পাশাপাশি বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধারের ব্যাপারেও প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।