৯ই জুন, অর্থাৎ রবিবার তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি শপথ নিয়েছেন আরও ৭১ জন সাংসদ। যার মধ্যে রয়েছেন তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) সাংসদ পেম্মাসানি চন্দ্রশেখর। নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে এনডিএ’র মন্ত্রিসভার অংশ হয়েছেন দেশের সবচেয়ে ধনী ওই সাংসদ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া ৫৪৩ জন জনপ্রতিনিধির মধ্যে সবচেয়ে ধনী সাংসদ হলেন পেম্মাসানি। পেশায় তিনি চিকিৎসক। তবে তাঁর পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণ একেবারে নজরকাড়া। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর আসন থেকে জয়ী হওয়া পেম্মাসানির সম্পত্তির পরিমাণ ৫,৭০৫ কোটি টাকারও বেশি। তাঁর নিজের নামে ২০০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এছাড়া স্ত্রী কোনেরু শ্রীরথনার নামে ২০০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর ছেলে অভিনব এবং মেয়ে সহস্রার প্রত্যেকের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে আগে জমা দেওয়া মনোনয়নের বিবরণে পেম্মাসানির বিপুল সম্পত্তির বিষয়টি সামনে এসেছে। যার নিরিখেই বর্তমানে ওই টিডিপি সাংসদই লোকসভার সবচেয়ে ধনী সাংসদ। তাঁর পরেই রয়েছেন কোন্ডা বিশ্বেশ্বর রেড্ডি৷ তিনি তেলেঙ্গানার বিজেপি নেতা।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে পেম্মাসানি চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন যে তিনি কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হয়েছিল পেম্মাসানির। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি পড়ার জন্য সুযোগ পান তিনি। এরপরে ডাক্তারিতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে যান। ২০০০ সালে আমেরিকায় কিছু ব্যবসা শুরু করেন। তিনি বছর পাঁচেক জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটিতে এবং বাল্টিমোরের সিনাই হাসপাতালে মেডিক্যাল টিচিং ফ্যাকাল্টি হিসেবেও কাজ করেছেন। এক সময়ে পেম্মাসানি ডাক্তারির পঠনপাঠনের নোট তৈরি করে তা কম দামে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাঁর নোটগুলি জনপ্রিয় হতে থাকে। এরপরই তিনি এড-টেক প্ল্যাটফর্ম ইউওয়ার্ল্ড প্রতিষ্ঠা করেন। যা মূলত আমেরিকায় নার্সিং, ফার্মেসি, আইন, ব্যবসা এবং অ্যাকাউন্টিংয়ের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়। অনাবাসী ভারতীয়দের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য তিনি পেম্মাসানি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০০০ সালে পেম্মাসানি আমেরিকার যুব উদ্যোগপতি হিসেবে পুরস্কারও পান।