যাদবপুরেরই মেয়ে তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হবার পর থেকে জনসংযোগে ত্রুটি রাখেননি সায়নী ঘোষ। দিনরাত এক করে প্রচার সেরেছেন। হয়ে উঠেছেন আমজনতার ‘কাছের মানুষ’। ভোটের ফলাফলেও তার প্রভাব স্পষ্ট। আড়াই লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতে এবার দিল্লী পাড়ি দিচ্ছেন সায়নী। যুব তৃণমূলের সভানেত্রী থেকে সাংসদ, যাত্রাটা দীর্ঘ আর নিঃসন্দেহে পরিশ্রমসাধ্য। জয়ের পরই নিজের কাজের ব্লু-প্রিন্ট ছকে নিয়েছেন তিনি। নিবিড়তর জনসংযোগের লক্ষ্যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ধাঁচে চালু হতে চলেছে ‘সরাসরি সায়নী’। এই হেল্পলাইনের মাধ্যমে সরাসরিই মানুষের কথা শুনবেন সাংসদ। রয়েছে আরও একগুচ্ছ পরিকল্পনাও। শনিবার বারুইপুরের বিধায়ক তথা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে যান সায়নী। “বারুইপুরে কর্মী, সমর্থকরা সকলে নিজেদের ভোট ভেবে কাজ করেছেন। তার জন্যই আমরা এখান থেকে খুব ভালো লিড পেয়েছি। মানুষ দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। তাঁদের কাছে আছি, পাশে আছি। ফল ঘোষণার পরই বারুইপুর, সোনারপুর, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মানুষজন আমাকে রাস্তায় দেখতে পেয়েছেন”, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন সায়নী।
এই কথার পরই আসল পরিকল্পনার কথা জানান সায়নী। বলেন, “এমনিতে এলাকার মানুষজন আমাকে সকলেই দেখতে পান। তবে আমার ইচ্ছা, একমাসের মধ্যে একটা হেল্পলাইন চালু করব। যেখানে সপ্তাহে একদিন সরাসরি আমি থাকব। মানুষ সমস্যার কথা দ্বিধাহীনভাবে বলতে পারবেন। তাহলেই তাঁরা সাংসদকে কাছে পাবেন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন ‘দিদিকে বলো’ প্রকল্প। যেখানে সরকারের দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে সরাসরি সাধারণ মানুষ অভিযোগ, সমস্যার কথা জানাতে পারতেন। সমাধানও হয়েছে। ভোটের বাক্সে তার সুফলও মিলেছিল। এবার সেই ফর্মুলা অবলম্বন করতে চলেছেন সায়নীও।