সদ্যই শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তবে এই আবহেই আরও একবার প্রবল বিতর্কের মুখে কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুরের পর এবার খাস কলকাতার বুকে ছড়াল চাঞ্চল্য। ফের সিআরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ভোটের ডিউটি সেরে ফেরার পথে সিআরপিএফ জওয়ান বাড়িতে ঢুকে তরুণীর শ্লীলতাহানি করে বলেই অভিযোগ উঠেছে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে চিৎপুর থানার পুলিশ ওই সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে নিন্দার ঝড়। সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। জানা গিয়েছে, বারুইপুরে ভোটের ডিউটি ছিল ওই জওয়ানের। ভোটের ডিউটি সেরে রবিবার রাতে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছয় সে। সেখান থেকে বিশেষ ট্রেনে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে অভিযোগ, ওই জওয়ান স্টেশন সংলগ্ন একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেখানে দরজা খোলা রেখে দুই বোন ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে পড়ে ওই সিআরপিএফ জওয়ান। অভিযোগ, অশ্লীলভাবে তরুণীকে জওয়ান স্পর্শ করেন। ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের।
এরপর তাঁরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে সিআরপিএফ জওয়ানকে ঘিরে ধরেন। তাঁকে ধরে চিৎপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, সিআরপিএফের তরফে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এক আধিকারিককে পাঠানো হয়েছে। জওয়ান দোষী হলে, তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চম দফার ভোটের আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে। ভোটের ডিউটিতে আসা আইটিবিপি জওয়ানের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে হুগলির জাঙ্গিপাড়ায়। ষষ্ঠ দফার ভোটে ডেবরাতেও প্রায় একই অভিযোগ ওঠে। বাড়িতে গিয়ে বধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে সিআরপিএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। তিনটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কলকাতায় উঠল একই অভিযোগ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজনীতির আঙিনা। এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল। “অমিত শাহ চুপ কেন?”, প্রশ্ন তুলেছে তারা।