লোকসভা নির্বাচনের আবহে একাধিক বার ‘৪০০ পার’-এর বাজখাঁই হুঙ্কার দিতে দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপির বিভিন্ন নেতাদের। কিন্তু আদৌ কি বাস্তবে ততটা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে পদ্মশিবির? উঠছে প্রশ্ন। সময় যত এগিয়েছে, ততই ৪০০ পারের বার্তা থেকে পিছু হটেছেন মোদী। তিন দফা ভোটের পর থেকেই সেই পরিচিত ধর্মীয় বিভাজনের কৌশলে ফিরেছে বিজেপি। রাতারাতি উধাও ৪০০ পারের কথা! বিরোধী মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’-র দাবি, ১৪০-এর মধ্যেই বিজেপি আটকে যাবে। শেষ দফার ভোটের আগে বৃহস্পতিবার ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম শরিক সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব বলেন, “বিজেপি এখন ৪০০ পারের স্লোগান ভুলে গিয়েছে। ওদের কাজে দেশবাসী ক্ষুব্ধ। বিজেপি ১৪০টি আসনেও জয়ী হতে পারবে না। আতঙ্কে হোঁচট খাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।”
প্রসঙ্গত, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, দু’শো পেরোবে না বিজেপি। ইন্ডিয়ার নেতাদের মতে, কৃষকদের পাশে দাঁড়ায়নি মোদী সরকার। শিল্পপতিদের কোটি কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছে তাঁরা। আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার বিজেপির বিরুদ্ধে যাবে বলেই মত বিরোধীদের। এক্স হ্যান্ডলে জোটের সব নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, তাঁরা বিকল্প হিসেবে সমগ্র দেশবাসীর সামনে বৈপ্লবিক কিছু গ্যারান্টির কথা তুলে ধরেছেন। সেগুলো সবই দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবু সবাইকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র ও স্ট্রং রুমে নজর রাখতে অনুরোধ করছেন রাহুল। তিনি আরও লেখেন, নির্বাচনে জিততে চলেছে ইন্ডিয়াই।