নরেন্দ্র মোদী জমানায় কমেছে শিল্প উৎপাদন। কৃষিতে এসেছে মন্দা। যার প্রভাব এবার দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারে পড়তে চলেছে। লোকসভা ভোটের মধ্যে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের কথায়, মার্চ ত্রৈমাসিকে যতটা আশা করা হয়েছিল, ততটা চড়বে না জিডিপির গ্রাফ। ফলে নিত্য় প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম রীতিমতো আগুন হতে পারে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কয়েকদিন আগেই মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-এর প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ৮ শতাংশ থাকবে বলে দাবি করেন তিনি।
কিন্তু বিশ্লেষকদের দাবি, মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির পরিমাণ 7 শতাংশ বা তার চেয়েও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পিছনে শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়া ও কৃষিতে মন্দাকেই বেশি করে দায়ী করেছেন তাঁরা। যা নিয়ে মোদী জমানার কড়া সমালোচনা করতে ছাড়েননি আর্থিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
উল্লেখ্য, 2023-র জুন ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছিল ৮.২ শতাংশ। এর পর সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ৮.১ ও ৮.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল আর্থিক বৃদ্ধির গ্রাফ। ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, ‘চতুর্থ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার 8 শতাংশ বা তার বেশি থাকবে বলে আমরা আশাবাদী। ২০২৪-২৫অর্থবর্ষে সামগ্রিকভাবে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির গ্রাফ হবে ৮ শতাংশ। যা আর্থিকভাবে দেশকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে।’
তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এহেন দাবিকে মানতে নারাজ ব্যাঙ্ক অফ বরোদার মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা মদন সাবনভিস। তাঁর দাবি, ‘মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপির বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭.১ থেকে ৭.২ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে নির্মাণ শিল্প। সেখানে জিডিপি বাড়তে পারে ৭.৯ শতাংশ।’