গত ১৭ মার্চ লোকসভা ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তার পর থেকে ১৫মে পর্যন্ত ১১১টি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে তিনি রাম মন্দিরের উল্লেখ করেছেন ৩২টি সভায়। মোদীর গ্যারান্টির কথা বলেছেন আটটি সভায়। অন্যদিকে, এই ৫০ দিনের প্রচারে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছেন ৬০ বার। আর কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন ১০৫টি সভায়।
একটি সর্বভারতীয় ইংরিজি দৈনিক প্রধানমন্ত্রীর ১১১টি জনসভা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছে কীভাবে বদলে গিয়েছে মোদীর ভাষণের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে হিন্দু মুসলিম প্রসঙ্গের উল্লেখ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিগত কয়েকদিন ধরে চর্চা চলছে। কংগ্রেস সহ বিরোধী দল অভিযোগ তুলেছে, প্রধানমন্ত্রী হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এক তরফা কংগ্রেসকে আক্রমণও আলোচনার বিষয় হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, নিজের নামে গ্যারান্টির কথা কার্যত এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদী। যদিও বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে মোদীর গ্যারান্টির কথাই ফলাও করে বলা হয়েছে। লক্ষণীয়, ৫ এপ্রিল কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশের পর মোদীর ভাষণের বিষয়বস্তু বদলে যায়। কংগ্রেসের ইস্তাহারকে মুসলিম লিগের ঘোষণা পত্র বলে আক্রমণ শুরু করেন। অভিযোগ করেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সব সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে।
১০৫টি সভায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদী বলেছেন, কংগ্রেস সরকার গড়ার সুযোগ পেলে তফসিলি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণ মুসলিমদের দিয়ে দেবে। এইভাবে বারে বারে মুসলিম এবং কংগ্রেস প্রসঙ্গ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর কথায়। কেন প্রধানমন্ত্রী ভাষণে ইস্যু বদল করলেন? ভোট বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশের পর সেটিকে বিরোধীদের আক্রমণে নতুন অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের কৌশল নেন। তার আগে সব বহু ব্যবহৃত অস্ত্রই তাঁকে ব্যবহার করতে হচ্ছিল।