লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে, এমনকী প্রথম দফা ভোটগ্রহণের আগে পর্যন্ত প্রচারের মূল মন্ত্র ছিল ৪০০ আসন ছোঁয়া। কিন্তু প্রথম পর্বে এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলিতে ভোটের হার কম হওয়া পাল্টে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রচারের ভাষা। দ্বিতীয় দফা ভোটের আগেই ৪০০ আসনের প্রসঙ্গের পরিবর্তে হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের কথা বলে মেরুকরণের পুরনো রাস্তায় হেঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মোদীর জবাবদিহি চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বিরুদ্ধেও ‘মুসলিম’ শব্দ ব্যবহার করে মেরুকরণের অভিযোগ উঠল।
শুক্রবার মুম্বইয়ে মোদীর ঢঙেই সংরক্ষণ নিয়ে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটকে তোপ দাগেন নাড্ডা। বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘কংগ্রেস এবং তাদের ‘ইন্ডি’ জোটের গোপন উদ্দেশ্য হল এসসি-এসটি এবং ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং তা মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া।’ নাড্ডা দাবি করেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, ‘দেশের সম্পদের উপর প্রথম অধিকার মুসলিমদের’, সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের সম্পদের উপর গরিবদের অগ্রাধিকারের কথা বলেন। উল্লেখ্য, মনমোহনের আংশিক মন্তব্য মোদিই প্রথম টেনে আনেন। ভোটের সন্ধানে সেই একই পথে হাঁটলেন বিজেপি সভাপতি।