লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে, এমনকী প্রথম দফা ভোটগ্রহণের আগে পর্যন্ত প্রচারের মূল মন্ত্র ছিল ৪০০ আসন ছোঁয়া। কিন্তু প্রথম পর্বে এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলিতে ভোটের হার কম হওয়া পাল্টে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রচারের ভাষা। দ্বিতীয় দফা ভোটের আগেই ৪০০ আসনের প্রসঙ্গের পরিবর্তে হিন্দু-মুসলমান বিভাজনের কথা বলে মেরুকরণের পুরনো রাস্তায় হেঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জেপি নাড্ডারা। এবার কংগ্রেসকে একহাত নিতে ‘সংখ্যালঘু’কেই নিশানা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, ‘নির্লজ্জ কংগ্রেসের লক্ষ্যই হল গোহত্যা করে সংখ্যালঘুদের মাংস খাওয়ার অধিকার দেওয়া।’
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে সম্ভলে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন পরমেশ্বর লাল সাইনি। শুক্রবার মোরাদাবাদের বিলারিতে তাঁর সমর্থনে প্রচার করেন যোগী। সেখানেই হাত শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, গরুকে যেখানে মায়ের আসনে বসানো হয়, কংগ্রেসের উদ্দেশ্য সেই গরুকেই কসাইদের হাতে তুলে দেওয়া। ভারত কি এটা মেনে নেবে? মোদীর মতো সরাসরি ‘মুসলিম’ শব্দ ব্যবহার না করলেও ‘সংখ্যালঘু’দের কথাই বলতে চেয়েছেন যোগী। এমনটাই দাবি বিরোধীদের। এখানেই শেষ নয়, মোদীর সুরে সুর মিলিয়েই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মহিলাদের সম্পত্তি কেড়ে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বিলিয়ে দিতে চায় কংগ্রেস।