নির্বাচনের মুখে সিএ লাগু হলেও দেড় মাস পরেও দেশের কোনও প্রান্ত থেকে একটিও আবেদন জমা পড়েনি বলে জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সম্প্রতি এক আরটিআই কর্মী তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চান এখনও পর্যন্ত দেশের কতজন নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছে? উত্তরে সোমবার মন্ত্রকের তরফে জানান হয়, এখনও পর্যন্ত একজনও আবেদন করেননি। ফলে প্রথম দফার নির্বাচনের পর এই তথ্য সামনে আশায় হতাশ বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব।
মার্চের ১১ তারিখ সিএএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই উল্লাসে মাতে গেরুয়া শিবির। বাংলা ছাড়াও পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুর ভোটবাক্সে ব্যাপক প্রভাব পরবে বলে মনে করে বিজেপি নেতৃত্ব। বারবারই গেরুয়া নেতারা প্রচার করে যে এই আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। পাল্টা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যে সিএএ লাগু করতে দেবেন না। প্রচারে বারবারই তিনি বলেন, “এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি নাগরিকত্ব হারাবেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিতেই যে বাংলার মানুষ সমর্থন জানাচ্ছে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য থেকেই স্পষ্ট। সম্প্রতি এখ আরটিআই কর্মী মন্ত্রকে কাছে জানতে চান, অনলাইন পোর্টাল মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত কতজন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছে। যদি করে থাকেন তাহলে তাঁরা কি নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
জবাবে মন্ত্রকের তরফে ২৩ এপ্রিল জানান হয়, এখনও পর্যন্ত দেশের কোনও রাজ্য থেকেই একজনও আবেদন করেননি।