৫ বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি ভাঙার কমপক্ষে ছ’টি অভিযোগ উঠেছিল। সব ক’টি ক্ষেত্রেই শেষ পর্যন্ত ক্লিনচিট পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারেও মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে পদক্ষেপ করার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশন নীরব বলেই মত বিরোধীদের। কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অন্তত ছ’টি অভিযোগ জমা দেওয়ার পরে ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি। অন্যদিকে, বিন্দুমাত্র অনাশোচনা নেই মোদীরও। উল্টে তিনি এই ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, যা বলেছেন বেশ করেছেন। প্রয়োজন পড়লে আবারও বলবেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারে রাজস্থানে গিয়ে বিদ্বেষ ছড়িয়ে এসেছেন মোদী, যা ঘিরে গোটা দেশ উত্তাল। কিন্তু মোদী নিজের অবস্থানে অনড়। রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় দু’দিন আগে নির্বাচনী জনসভা থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশবাসীর সম্পদ কেড়ে নিয়ে ‘যাদের বেশি সন্তান হয়’, সেই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিলিয়ে দেবে। এভাবে সরাসরি মুসলিমদের নিশানা করেন তিনি। আরও বলেন, মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্রও থাকবে না। সেটাও কেড়ে নেবে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিদ্বেষমূলক ও সাম্প্রদায়িক প্রচার শুরু করেছেন বলে অভিযোগ আনছে কংগ্রেস-সহ গোটা ইন্ডিয়া জোট। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের আক্রমণকে পাত্তা দেননি মোদী।
বরং মঙ্গলবার রাজস্থানে নির্বাচনী সভা করতে গিয়ে তাঁর দাবি, কংগ্রেসের গোপন লক্ষ্য ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি। যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন। আর সেটা শুনে কংগ্রেস ও বিরোধীদের মধ্যে লঙ্কার জ্বলুনি হয়েছে। দিশাহারা হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। নিজের অবস্থানে অনড় থেকে মোদী আরও বলেন, কংগ্রেস বলেছে যে, তারা অনগ্রসরদের থেকে সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিলি করবে। সংবিধান যখন তৈরি হয় তখন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা হয়নি। আপত্তি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, দেশের সম্পদের ওপর মুসলিমদের অধিকার সবার আগে। মোদী আরও বলেন, কংগ্রেসের শাসনে হনুমান চালিশা পাঠ করা অপরাধ।