পতঞ্জলি সংস্থার ‘অসত্য বিজ্ঞাপন’ মামলায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করা নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম-ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন যোগগুরু রামদেব। তাঁকে ‘ফল ভোগ করার জন্য তৈরি থাকার’ কথাও জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এবার ফের সুপ্রিম কোর্টে কড়া কথা শুনতে হল রামদেবকে। খবরের কাগজের গোটা পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। সেইরকম বড় করে ক্ষমা চেয়েছেন? যোগগুরুকে এভাবেই ভর্ৎসনা করল তারা। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা নাকচ করা হল। কারণ ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিমা মোটেও আন্তরিক ছিল না।
মঙ্গলবার শুনানি চলাকালীন পতঞ্জলির পক্ষে আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, তাঁরা আদালতের কাছে আরও একটি নতুন ক্ষমাভিক্ষাপত্র জমা দিয়েছেন। বেঞ্চ তখন জানতে চায়, মাত্র গতকালই কেন ক্ষমাভিক্ষা চাওয়া হয়েছে? এ তো অনেক আগেই করা উচিত ছিল। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং এ আমানুল্লার বেঞ্চকে রোহতগি জানান, তাঁর মক্কেলরা গত ২২ এপ্রিল দেশের ৬৭টি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। এরজন্য খরচ পড়েছে ১০ লক্ষ টাকা। এরপরই বিচারপতি হিমা কোহলি প্রশ্ন করেন, ‘রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনাটা কি খুব স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে? যেভাবে খবরের কাগজের গোটা পাতা জুড়ে বড় বড় অক্ষরে পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হত, সেরকমভাবে কি ক্ষমাপ্রার্থনার বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়েছে? যত টাকাই ব্যয় হয়ে থাকুক না কেন, সেই নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।’
এরপর আদালত রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণর সামনেই বলে, আমরা একটি আবেদন পেয়েছি। যাতে মূল মামলাকারী ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে। এটা কি ভুয়ো আবেদন, আমাদের সন্দেহ আছে। জবাবে রোহতগি বলেন, এতে তাঁর মক্কেলদের কিছু করার নেই। এ পর্যন্ত বলে আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী ৩০ এপ্রিল। রামদেব বলেন, তিনি ফের ক্ষমা চেয়ে আরও বড় বিজ্ঞাপন দেবেন। বিচারপতি কোহলি বলেন, বিজ্ঞাপনটি কেটে এনে আমাদের দেখাবেন। কৃত্রিমভাবে বড় করে আনবেন না। আমরা প্রকৃত মাপের বিজ্ঞাপনটিই দেখতে চাই। আমাদের নির্দেশ হচ্ছে, বিজ্ঞাপন ছাপা হলেই তা নিয়ে আসবেন এবং আমাদের যেন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে পড়তে না হয়।