এবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের এক ভিডিয়ো সদ্য ভাইরাল (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ’এখন খবর’) হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময়ই মুসলিমদের সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেন নরেন্দ্র মোদী। যে ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ করে তুমুল তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিরোধীদের তোপ দাগতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘আগে যখন ওদের (বিরোধীদের) সরকার ছিল তখন ওরা বলেছিল, দেশের সম্পত্তিতে প্রথম অধিকার মুসলমানদের।’ ওই ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এরপর প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘এর মানে এই পুরো সম্পত্তি একত্রিত করে কাদের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে? … যাঁদের বেশি বাচ্চা আছে, তাঁদের দেবে… ’ মোদীর এই বক্তব্যে ততক্ষণে করতালিধ্বনি শুরু হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন,’ আপনাদের কষ্টের রোজগারের টাকা কি অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া হবে? আপনাদের কি মত আছে এতে? এটা কংগ্রেসের ইস্তেহারে রয়েছে…।’
একধাপ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, কংগ্রেসের ইস্তেহার বলছে ‘যে ওরা মা বোনেদের সোনার হিসাব করবে, তার সম্পর্কে তথ্য নেবে… আর সেই সম্পত্তি বিলিয়ে দেবে… আর তাঁদের কাছে বিলিয়ে দেবে, যাঁদের মনমোহন সিংয়ের সরকার বলেছিল, এই সম্পত্তিতে প্রথম অধিকার মুসলিমদের।’ মোদী বলছেন, ‘এই আরবান নকশালদের ভাবনা এমনই যে এরা আপনাক মঙ্গলসূত্রও বাঁচাতে দেবে না।
এই ভিডিয়ো ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের সাগরিকা ঘোষ। এককালের দাপুটে সাংবাদিক তথা বর্তমানে তৃণমূলেপ রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ টুইটে লেখেন, ‘এতে ভোটের জন্য নির্লজ্জ সাম্প্রদায়িক আবেদন রয়েছে, যদি নির্বাচন কমিশন এখনই পদক্ষেপ না করে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘৃণ্য ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে, তাহলে নির্বাচন কমিশন বন্ধ করে দেওয়া হোক, আর ভুলে যান নির্বাচনী বিধি।’