বর্ধমান-দুর্গাপুরে রোজই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে চা চক্রে যোগ দিচ্ছেন এলাকার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সোমবার সকালে বর্ধমানের জনানদিঘি মোড়ে একটিও চা দোকান খোলা পেলেন না তিনি! ফলে ভেস্তে গেল তাঁর চা চক্র। আর তার জন্য তৃণমূলকে দায়ী করলেন তিনি। এর পালটা দিয়ে তৃণমূলের দাবি, চায়ের দোকান নিয়ে অকারণ রাজনীতি করছেন বিজেপি প্রার্থী।
চব্বিশের লোকসভা ভোটে কেন্দ্র বদলে দিলীপকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করেছে দল। আর তারপর থেকেই এই কেন্দ্রের মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। দিনভর প্রচারের বাইরেও স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন। তাঁর বেলাগাম মন্তব্য নিয়ে খোদ নির্বাচন কমিশন সতর্ক করলেও তা থোড়াই কেয়ার দিলীপের! মুখ্যমন্ত্রী হোন কিংবা তৃণমূলের অন্যান্য নেতা, দিলীপ ঘোষের অশালীন বাক্যবাণ থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউ। এবার চায়ের দোকান বন্ধ নিয়েও তৃণমূলকে দুষলেন তিনি।
সোমবার সকালে বর্ধমানের জনানদিঘি মোড়ে চা চক্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিজেপি প্রার্থীর। সেইমতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে সদলবদলে সেখানে পৌঁছে যান দিলীপ। কিন্তু গিয়ে দেখেন, একটি চায়ের দোকানও খোলা নেই। ফলে উপায় না দেখে চা চক্র বাতিল করতে বাধ্য হন তিনি। আর এ জন্য দায়ী করেন তৃণমূলকে। এর পালটা দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘মানুষ দিলীপ ঘোষকে গ্রহণ করছে না, এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মানুষ ওঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলেই দোকান বন্ধ রেখেছেন।’