মঙ্গলবার নিজের মনোনয়ন জমা করলেন বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হল জনজোয়ার। এদিন বহরমপুর টেক্সটাইল কলেজ মোড় থেকে জেলাশাসকের অফিস অবধি ছিল ভিড়। টেক্সটাইল কলেজ মোড়ের তৃণমূলের জেলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে যখন মিছিল বের হয়, তখনও কয়েকটি মিছিল ওই কলেজ মোড়ে পৌঁছতে পারেনি। যখন জেলাশাসকের অফিসে পা রাখলেন ইউসুফ, তখনও টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে মিছিলের শেষ ভাগ। পাঁচ হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে হেঁটে মনোনয়ন জমা দিলেন বহরমপুরের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ইউসুফঌ মিছিলে ছিল বিশাল আকারের পতাকা, জোড়া ফুল প্রতীকের কাটআউট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, ইউসুফ পাঠানের বিশাল কাটআউট নিয়ে জনস্রোত এগিয়ে চলল। ব্যান্ড পার্টি সঙ্গে নিয়ে নাচতে থাকেন প্রচুর কর্মী-সমর্থক। মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ঘট নিয়ে মিছিলে ছিলেন। প্রখর রোদ ও গরম উপেক্ষা করেও মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৪৪ ধারা হার মেনে যায় মানুষের উন্মাদনায়। জেলাশাসক অফিসের দুটি গেট দিয়েই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা প্ল্যাকার্ড, তৃণমূলের পতাকা নিয়ে ঢুকে পড়েন। তাঁদের বের করে দেয় পুলিশ।
এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান, বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার, চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা-সহ বিধায়ক ও অন্যান্য নেতৃত্ব। মনোনয়ন জমা দিয়ে ইউসুফ বলেন, মানুষের উন্মাদনা জয়ের পথ সুনিশ্চিত করছে। শুধু উন্নয়ন দিয়েই ভোট হবে। এখানকার এত বছরের সাংসদ এতদিনে যা যা করতে পারেননি, তিনি সাংসদ হয়েই সেই কাজগুলি আগে করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মানুষের উন্নয়ন চান। সকলে যাতে ভালভাবে বাঁচতে পারেন, সেদিকেই তাঁরা সবসময় চিন্তা করেন। বহরমপুরবাসীকে তিনি বলেন উন্নয়ন দেখে ভোট দিন। আজ মনোনয়ন জমা দিয়ে খুবই ভাল লাগছে বলেই জানান পাঠান। বলেন, সবথেকে ভাল লাগছে, এত মানুষের উৎসাহ উন্মাদনা দেখে। আবু তাহের বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেখে মানুষ ভোট দেবেন। সবুজ সাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী দেখে মানুষ ভোট দেবেন। উন্নয়নের নিরিখে ভোট হবে। কোনও অপপ্রচার ও কুৎসা করে কেউ লাভ ওঠাতে পারবে না। তিনটি আসনেই তৃণমূলের জয় হবে। “মানুষের এই উন্মাদনা বুঝিয়ে দিচ্ছে ইউসুফ পাঠানের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন নিয়ে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে লড়াই হচ্ছে”, জানান জেলা সভাপতি।