লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। শনিবার রানিগঞ্জের এক কর্মীসভায় তিনি বলেন, “মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে নির্বাচনের সময় মাছ-মাংস না খাওয়ার প্রসঙ্গে বলছেন মোদী। তিনি তো নিরামিষভোজী। তিনি প্রতিদিন মাসরুম খান, তা ৫০ হাজার টাকা কিলো। কাশ্মীর থেকে বিশেষভাবে তা আনানো হয়। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি সভাতে শুধু তাঁর পিছনে খরচ হয় ২৫ কোটি টাকা।” সভায় উপস্থিত ছিলেন রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার শ্যালক। তাপসবাবু বলেন, “ভোটের ফলাফলই একজন রাজনীতিকের মূল পরিচয়। শিক্ষা, পারিবারিক সম্পর্ক রাজনীতির কোনও পরিচয় দেয় না। বলাবাহুল্য, তাপসবাবুর এহেন মন্তব্য জামাইবাবুকে উদ্দেশ্য করেই।” আলুওয়ালিয়াকে বিজেপি আসানসোলে প্রার্থী করার পরই তাপসবাবুর ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মন্তব্যই জল ঢেলে দিল সব জল্পনায়।
পাশাপাশি তাপসবাবু বলেন, “দলকে জেতাতে হবে। নিজের নিজের এলাকায় লিড সুনিশ্চিত করুন। পাশের ওয়ার্ডে বা পাশের পঞ্চায়েতে কি হচ্ছে দেখতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।” উল্লেখ্য, সম্প্রতিই তৃণমূল স্টার ক্যাম্পেনারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। মমতা ও অভিষেকের পর তিন নম্বরে নাম রয়েছে বলিউডের তারকা শত্রুঘ্ন সিনহার। কর্মীসভায় তাঁকে দেখতে রানিগঞ্জের বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। নির্বাচনী প্রচারে কমিশনের অনুমতি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতেই রোড শো বাতিল করে কর্মীসভার আয়োজন করে তৃণমূল। তাতেও ভিড় সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। মহিলাদের ভিড় ছিল দেখার মতো। সভাতে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন প্রার্থী। ” তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী পেশাক নিয়েও ভীষণ সৌখিন। কতবার যে পোশাক পরিবর্তন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রাসন বাংলা মেনে নেয়নি বলে একশো দিনের প্রকল্প, আবাস যোজনার টাকা-সহ কেন্দ্রের নানা প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, মোদী সরকার আসবে না। বাংলা প্রাপ্য পাবেই”, স্পষ্ট বক্তব্য শত্রুঘ্নর।