লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের প্রকাশ্যে এল মোদী সরকারের ফাঁপা প্রতিশ্রুতি। এবার জুমলার বলি হল দেশের ২৫ কোটি পিএফ গ্রাহক। কোষাগারে দেওয়ার মতো অর্থ ছিল, সুপারিশ ছিল। কিন্তু তারপরও বছরভর প্রাপ্য সুদ থেকে বঞ্চিতই থেকে গেলেন দেশের ২৫ কোটি পিএফ গ্রাহক। মনে করা হচ্ছে, চমক দিতে দু’মাস আগেই পিএফে ৮.২৫ শতাংশ সুদ ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। আগের অর্থবর্ষে সুদের হার ছিল ৮.১৫ শতাংশ। গ্রাহকদের এক বছর ধরে শুধুই বঞ্চনা করা হয়েছে। সুদের খাতে যে অর্থ ছিল, তাতে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৮.২০ শতাংশ হারে সুদ দিতে পারত। কিন্তু দেওয়া হয়নি তা।
প্রসঙ্গত, সুদের হার কত হবে, সে’বিষয়ে পরামর্শ নিতে ফির বছর বৈঠক ডাকে ইপিএফও। সেখানে অছি পরিষদের সদস্যদের পরামর্শ, অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টার সুপারিশ পেশ করা হয়। দফতরের আয়-ব্যয়ের হিসেব কষেই সুদের হার প্রস্তাব করা হয়। ২০২২-২৩ সালে অছি পরিষদের বৈঠকে অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টার সুপারিশে বলা হয়েছিল, ৮.২ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। এরপরও যথেষ্ট টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পিএফ কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগ করেছে প্রায় ১২ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকা। সে’বাবদ ওই দিন অবধি সুদ মিলেছে ৯০ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। পাশাপাশি ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকেও উদ্বৃত্ত রয়ে গিয়েছে প্রায় ১৯৮ কোটি টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ঘোষণা হয়, সুদের হার থাকবে ৮.১৫ শতাংশ। যা ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।