শুক্রবার প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে ত্রিপুরা পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্র এবং বিধানসভার রামনগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। আর তাতেই দেদার ছাপ্পা ভোট, বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের বুথে বসতে না দেওয়া, জোর করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্র থেকে বার করে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কমিশনে নালিশ ঠুকেচজে কংগ্রেস এবং সিপিএম।
পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের রিটার্নিং অফিসার তথা পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক বিশাল কুমার জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা পর্যন্ত পশ্চিম আসনে ৮১.৫২ শতাংশ এবং রামনগর উপনির্বাচনে ৭১.২১ শতাংশ ভোট পড়েছে। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে দু’জন ভোটকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ভোটকর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জন রাজনৈতিক কর্মীকে।
প্রসঙ্গত, জোড়া ভোটকে ঘিরে গতকাল ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। আগরতলা শহরের একটি স্কুলের বুথ থেকে কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই ভাবে বিধানসভা উপনির্বাচনে রামনগর কেন্দ্রের মোট ৪৯টি বুথের মধ্যে ৩৩টি বুথেই বিরোধী পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের সিপিএম প্রার্থী রতন দাস।
আবার, পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিলোনিয়া, শান্তিরবাজার, উদয়পুর, সোনামুড়া এবং বিশালগড় এলাকায় ‘ইন্ডিয়া’র পোলিং এজেন্টদের নানা ভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার বলেন, ‘ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে শাসক বিজেপি। এটা তাদের দুর্বলতার লক্ষণ। বিজেপি প্রত্যেক নির্বাচনে এ ভাবেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে।’
গতকাল আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন ‘ইন্ডিয়া’-র নেতারা। সেখানে পশ্চিম আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আশিসকুমার সাহা বলেন, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার-সহ কমিশনের অন্য অফিসারেরা তাঁদের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও পোলিং এজেন্টরা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় ৮০ শতাংশ পোলিং এজেন্ট বুথ কেন্দ্রে ঢুকতেই পারেননি বলে আশিসের দাবি। এজেন্টবিহীন নির্বাচনে ভোটের শতাংশ বাড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।