আজ থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। বাংলাতেও সম্পন্ন হল প্রথম দফার ভোট। উত্তরবঙ্গের ভোট চলাকালীনই দক্ষিণবঙ্গে প্রচার সারলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ই মে ভোট জঙ্গিপুরে। মমতা জনসভা করলেন সেই জঙ্গিপুরেরই গত বারের জয়ী তৃণমূল সাংসদ এবং এ বারের প্রার্থী খলিলুরের হয়ে। এদিন মমতাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়। সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা। ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমি ভালবাসি। আমি ওদের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু বিজেপি ওদের পার্টি ক্যাডার হিসাবে ব্যবহার করছে। আমি একটা কথা ইংরেজিতে বলব। যাতে কথাটা নির্বাচন কমিশনের কানে পৌঁছয়। আমার প্রশ্ন, উত্তরবঙ্গের ভোটে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হচ্ছে কেন? কেন সেখানে রাজ্য পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তা হলে কী করে আমরা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে বলে বিশ্বাস করব’’, বললেন তিনি।
পাশাপাশি, ‘বিজেপি চোর হ্যায়’ স্লোগান তুললেন তৃণমূল নেত্রী। বললেন, ‘‘পকেটমারদের দেখেছেন? যারা পকেটমারি করে, তারাই প্রথমে ‘পকেটমার, পকেটমার’ বলে চিৎকার করে যাতে নিজেরা পালিয়ে যেতে পারে। বিজেপিও তাই করে। ওরা সবচেয়ে বড় চোর, তাই ‘চোর চোর’ করে চিৎকার করে বেড়াচ্ছে। আর সব চোরেরা বিজেপিতে গিয়ে ভাল হয়ে যাচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন ভাজপা।’’ মমতা বললেন, উত্তরবঙ্গের ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে একটি কাগজে সই করানো হয়েছে। তাতে লেখা ছিল, ‘‘ভোটে বড় গন্ডগোল হয়েছে বলে এই অ্যাকশন নিতে বাধ্য হলাম।’’ উদাহরণও দেন মমতা। ‘‘কোনও বড় অভিযানে যাওয়ার আগে বাড়ির লোককে দিয়ে এ রকম বন্ডে সই করানো হয়। আর এরা ভোট শুরুর আগেই ভোটে অশান্তির ঘণ্টা বাজিয়ে দিল। নির্বাচনের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিল। এটা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে!’’, স্পষ্ট বক্তব্য তৃণমূল নেত্রীর।