‘মাছ-ভাত খাও, বাংলা থেকে বিজেপি হঠাও’। নবরাত্রির সময়ে মাছ খাওয়া নিয়ে দেশজুড়ে আমিষ-নিরামিষ বিতর্কের মধ্যেই নতুন স্লোগান দিয়েছে তৃণমূল।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সোমবার দিল্লিতে নিজের বাসভবনে বাঙালি মধ্যাহ্ণভোজের আয়োজন করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানে মাছের বিভিন্ন পদকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। ফিশ ফ্রাই, দই রুই, ভেটকির সর্ষে ঝালের পাশাপাশি অবশ্য আলুপোস্ত, কলাইয়ের ডাল, আমের চাটনি, মিষ্টি দই, সন্দেশও ছিল মেনুতে।
খাদ্য তালিকায় মাছের উপর গুরুত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ ডেরেক বলেন, “বাঙালি মাছ খাবে এটাই তো স্বাভাবিক।” সঙ্গে তাঁর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কোচবিহারের জনসভায় মাছ খাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধেছেন, উল্লেখ করেছেন সেকথাও।
গত শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যাঁরা চৈত্র নবরাত্রির সময় আমিষ খান, তাঁদের মানসিকতা মুঘলদের মতো। সেই বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে কোচবিহারে ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেছিলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাছ খেলে তাঁরা হিন্দুবিরোধী, মুঘল। আমি দুবেলা মাছ খাই। কোচবিহারের মানুষরা বলুন, আপনারা মাছ খান? যাঁরা মাছ খেতে ভালবাসেন, তাঁরা হাত তুলুন। মনে রাখবেন, আপনাদের দেশবিরোধী বলছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এবার নিশীথকে ভোট দিয়ে জেতালে, কোচবিহারে মাছ খাওয়া বন্ধ করে দেবে। বাংলায় মায়ের ভোগে মাছ থাকে। প্রধানমন্ত্রী বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি জানেন না।”